‘আল্লাহর দোহাই, স্ট্রাইক রেট ফোবিয়া থেকে বেরিয়ে এসো’

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
নান্দনিক ব্যাটিংয়ের জন্য বিশ্ব জুড়েই প্রশসিংত বাবর আজম। তবে পাকিস্তানের অধিনায়কের স্ট্রাইক রেটে আধুনিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে চলে না! এমন আলোচনা চলে আসছে বহুদিন ধরে। বাবরের সঙ্গে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ওপেনিং জুটি নিয়েও বেশ সমালোচনা হয়েছে। তারা ??ুজনে দ্রুত গতিতে রান তুলতে পারেন না বলে ধারণা পোষণ করেন সমর্থকদের একাংশ। সবচেয়ে সফল জুটি হওয়ার পরও বেশ কজন সাবেক ক্রিকেটার বিপক্ষে ছিলেন বাবর ও রিজওয়ানের ওপেনিং করা নিয়ে।
এমন অবস্থায় অনেকটা বাধ্য হয়েই স্ট্রাইক রেটে গুরুত্ব দিতে গিয়ে রিজওয়ানের সঙ্গে সাইম আইয়ুবকে ওপেনিং করাতে শুরু করে পাকিস্তান। তবে সাফল্যের মুখ দেখতে না পেরে আবারও ফিরে যেতে হয়েছে পুরনো জুটিতে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চতুর্থ ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে রিজওয়ানের সঙ্গে ওপেন করেছেন বাবর। চলতি বছরে প্রথমবার এমন কিছু দেখে অনেকের মুখে হাসি ফুটলেও বিশ্বকাপের দিন কয়েক আগে এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষায় খুশি হতে পারছেন না রমিজ রাজা।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হতে একদিন বাকি থাকলেও নিজেদের সেরা সমন্বয় খুঁজে পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে পাকিস্তানকে। যে কারণে পাকিস্তানকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেকে বেরিয়ে আসতে বলছেন। সেই সঙ্গে স্ট্রাইক রেটের ফোবিয়া থেকেও বের হতে বলছেন সাবেক ক্রিকেটার ও জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার। রমিজ মনে করেন, স্ট্রাইক রেটের ওপর ভিত্তি করে দল সাজিয়ে সবকিছু নষ্ট করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে রমিজ বলেন, ‘সবার আগে বলব, পরীক্ষা–নিরীক্ষার মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসতে। সঠিক সমন্বয় নিয়ে মাঠে নামো এবং আল্লাহর দোহাই, দয়া করে স্ট্রাইক রেট ফোবিয়া থেকে বেরিয়ে এসো। কারণ, পাকিস্তানের ওই পর্যায়ের ক্রিকেটার নেই। স্ট্রাইক রেটের ওপর ভিত্তি করে দল গড়ার চেষ্টা করে আমরা সবকিছু নষ্ট করছি।’
বাবর-রিজওয়ানের ওপেনিং জুটি ভাঙার বিরোধিতা করেছেন রমিজ। এদিকে ওপেনিংয়ের মতো মিডল অর্ডারেও ভুগতে হচ্ছে তাদের। একমাত্র ফখর জামান ছাড়া বাকিদের কেউই বলার মতো পারফর্ম করতে পারছেন না। সবচেয়ে বেশি সমালোচনার শিকার হচ্ছেন উইকেটকিপার আজম খান। শাদাব খানের মতো স্পিনাররাও নেই নিজের সেরা ছন্দে। সবমিলিয়ে দলের মাঝে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি দেখছেন রমিজ।
তিনি বলেন, ‘ওপেনিংয়ের সমন্বয়টা বদলে ফেলে আপনারা দলটাকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। মিডল অর্ডারে ভূমিকা নির্দিষ্ট করে দেওয়া নেই। মিডল অর্ডারে অলরাউন্ডারদের যুক্ত করা হয়েছে এবং দুজন উইকেটকিপার খেলছে। পেস বোলার পরিবর্তন হচ্ছে এবং পাকিস্তানের স্পিনাররা বলই ঘোরাতে পারে না। আত্মবিশ্বাস বলে কিছু নেই।’