জুলাইয়ে অস্ট্রেলিয়া সফরে এইচপির সঙ্গী বাংলাদেশ ‘এ’ দল

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যস্ত সময় পার করছেন নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাস, সাকিব আল হাসানরা। আগামী অক্টোবরের আগে ঘরোয়া ক্রিকেটের সূচি না থাকায় সেপ্টেম্বরের আগ পর্যন্ত অবসর সময় পার করতে হবে টেস্ট দলের ক্রিকেটারদের। মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিমদের প্রস্তুত রাখতে বাংলাদেশ টাইগার্সের অনুশীলন ক্যাম্প চালু করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সিরিজ থাকায় প্রস্তুত করা হচ্ছে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটকেও।
যার ফলে সকালে বাংলাদেশ টাইগার্স এবং বিকেলে মিরপুরে ঘাম ঝরাচ্ছেন এইচপির ক্রিকেটাররা। আগামী কয়েক মাসে পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেলবেন এইচপি ও বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ক্রিকেটাররা। যেখানে আগামী জুলাইয়ে অস্ট্রেলিয়া সফর দিয়ে শুরু হচ্ছে এই দুই দলের দলের মাঠের ক্রিকেট। আগস্টে পাকিস্তান সফরেও যাবে বাংলাদেশ।
বিসিবির এক ভিডিও বার্তায় এ প্রসঙ্গে জাতীয় দলের নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘পাকিস্তানে ‘এ’ দলের পূর্ণাঙ্গ সফর আছে, চার দিনের ও এক দিনের ম্যাচ আছে। অগাস্টে হবে। অস্ট্রেলিয়াতে একটা আছে। এটা এইচপি ও টাইগার্স মিলিয়ে একটা দল করা হবে, যেহেতু এইচপিতে এখন বয়সের বাধ্যকতা নেই।

‘তাই আমরা অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে চার দিনের ম্যাচগুলোতে আমাদের ‘এ’ দলের ক্রিকেটারদের সুযোগ দেব। সেখানে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আছে, ওয়ানডেও আছে। আমরা সেখানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ক্রিকেটার পাঠাতে চাই। আর পরে বাংলাদেশে পুরোপুরি ‘এ’ দলের সিরিজ আছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। সেখানেও ওয়ানডে থাকবে, চারদিনের খেলা থাকবে।’
চারদিনের ম্যাচ দিয়ে অস্ট্রেলিয়া সফর শুরু করবে এইচপি। যেখানে একটি ওয়ানডে সিরিজও খেলবে তারা। অস্ট্রেলিয়ার কোন রাজ্য দলের সঙ্গে খেলার কথা রয়েছে জুনিয়র তাদের। এদিকে একই সময়ে বাংলাদেশ ‘এ’ দলও অস্ট্রেলিয়া সফর করবে। পাকিস্তান সেখানে থাকায় তাদের বিপক্ষে চার দিনের ও একদিনের সিরিজ খেলার কথা রয়েছে। শুধু তাই নয় একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজও খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল।
যদিও এখন পর্যন্ত প্রতিপক্ষ চূড়ান্ত করা হয়নি। ধারণা করা যাচ্ছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান বাদে অস্ট্রেলিয়ার আরও দুটি রাজ্য দলকে নিয়ে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হতে পারে। এমনকি ছয় দলের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টও হওয়ার গুঞ্জন রয়েছে। তবে সব ছাপিয়ে রাজ্জাকের কাছে বড় বিষয় অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে চার দিনের ম্যাচ খেলার সুযোগ পাওয়া।
প্রায় দুই যুগ আগে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট খেললেও এরপর আর কখনও সুযোগ পায়নি বাংলাদেশ। এইচপি ও বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ক্রিকেটারদের দিয়ে সেই আক্ষেপ খানিকটা ঘুচতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের এই নির্বাচক মনে করেন, অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে ভালো করতে পারলে বিশ্বের যেকোন জায়গায় ভালো করা সহজ। সেই সঙ্গে ক্রিকেটারদের জন্য বড় সুযোগ হিসেবে দেখছেন তিনি।
রাজ্জাক বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য অনেক বড় সুযোগ যেহেতু লঙ্গার ভার্সন হবে অস্ট্রেলিয়া কন্ডিশনে। এখন পর্যন্ত যেহেতু অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট খেলিনি। এমনকি আমার জানা মতে কোন লঙ্গার ভার্সন ম্যাচও খেলিনি। এটা একটা বড় সুযোগ, তাহলে খেলোয়াড়দের জন্য সুবিধা হবে পরবর্তীতে যদি আমাদের অস্ট্রেলিয়া সফর হয়। অথবা ওদের কন্ডিশনটা যেমন থাকে ওদের কন্ডিশনে ভালো খেলতে পারলে আমার মনে হয় যেকোন কন্ডিশনে ভালো করা খুব সহজ হয়ে যাবে।’