‘বেঙ্গালুরুর জার্সিটা গায়ে ফিট হয়, লাগলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হতে পারি’

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
গেইলের ছক্কার রেকর্ড ভাঙা নিয়ে ভাবছেন না তানজিদ
২২ জানুয়ারি ২৫
২০২১ সালে শেষবারের মতো আইপিএল খেলেছিলেন ক্রিস গেইল। এরপরের আসরের নিলামে আর দেখা যায়নি এই ওপেনারকে। গত শনিবার চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর খেলায় বিরাট কোহলিদের উৎসাহ যোগাতে মাঠে এসেছিলেন 'ইউনিভার্স বস'। ম্যাচ শেষে মজা করে বেঙ্গালুরুর ড্রেসিং রুমে তিনি জানান, সুযোগ পেলে এখনও তাদের হয়ে মাঠে নামতে চান তিনি।
আইপিএল ক্যারিয়ারে তিনটি দলের হয়ে খেলেছেন গেইল। কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের (বর্তমান পাঞ্জাব কিংস) হয়ে খেললেও বেঙ্গালুরুর সঙ্গেই সবচেয়ে বেশি সখ্যতা গেইলের। এ কারণে বেঙ্গালুরুর সতীর্থদের সঙ্গে নিয়মিতই যোগাযোগ থাকে ক্যারিবিয়ান এই হিটারের।

গত পরশু রাতে লিগ পর্বে দলটিকে উৎসাহ যোগাতে এসেছিলেন গেইল। তাকে সুসময় উপহার দেন ফাফ ডু প্লেসি-কোহলিরা। রুতুরাজ গায়কোয়াড়- মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসকে ২৭ রানে ম্যাচটি হারান তারা, চলে যান প্লে-অফেও! ম্যাচ শেষে কোহলিদের অভিনন্দন জানাতে বেঙ্গালুরুর ড্রেসিংরুমে যান গেইল।
বরুণ-নোমানকে পেছনে ফেলে মাসসেরা ওয়ারিক্যান
১১ ফেব্রুয়ারি ২৫
সেখানে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে গেইল বলেন, ‘আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন, (বেঙ্গালুরুর) জার্সিটা এখনো গায়ে ফিট হয়। যদি তাদের অতিরিক্ত খেলোয়াড় দরকার পড়ে, তাহলে আমি ইমপ্যাক্ট বদলি হিসেবে মাঠে নেমে যেতে পারি। এত সমর্থক দেখে দারুণ লাগল। আমি চিরকাল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ভক্ত হয়ে থাকব।’
‘এখানে আমার অনেক মজার স্মৃতি আছে। ফিরতে পেরে ভালোই লাগছে। খুব গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এমন সমর্থকদের দেখতে পারা দারুণ ব্যাপার। আমার কাছে এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আসতে পারা বিশেষ ব্যাপার।’
বেঙ্গালুরুর ঘরের মাঠ এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে দারুণ সব স্মৃতি আছে গেইলের। ২০১৩ আইপিএলে পুনে ওয়ারিয়র্স ইন্ডিয়ার বিপক্ষে এই মাঠেই ১৩ চার ও ১৭ ছক্কায় ৬৬ বলে ১৭৫ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলেন তিনি। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের বিশ্ব রেকর্ড হিসেবে সেই ইনিংসটি এখনও টিকে আছে।
গেইল আরও বলেন, ‘একটা বিষয় লক্ষ করলাম, স্টেডিয়ামে নতুন ছাদ বসানো হয়েছে। জানি আমি ছাদের কিছু ক্ষতি করেছি। আমার আশা, কেউ সেটা অব্যাহত রাখবে এবং ইউনিভার্স বসের মতোই বিনোদনদায়ী করে তুলবে। ক্রিকেট খেলার জন্য এটাই সেরা জায়গা। আমি যখন খেলতে নামতাম, লোম দাঁড়িয়ে যেত। এখানে আমার ক্যারিয়ার গড়তে সমর্থকেরা বড় ভূমিকা রেখেছেন।’