দয়ালকে ম্যাচসেরার পুরষ্কার উৎসর্গ করলেন ডু প্লেসি

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বুমরাহকে ছাড়া খেলা চ্যালেঞ্জ হবে মানছেন জয়াবর্ধনে
১ ঘন্টা আগে
গত আইপিএলে রিঙ্কু সিংয়ের কাছে টানা পাঁচ ছক্কা হজম করেছিলেন ইয়াশ দয়াল। সেই ম্যাচের পর অনেক সমালোচনা হজম করা বাঁহাতি এই পেসার এবারের আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে অসাধারণ পারফর্ম করে দল জিতিয়েছেন। রয়্যাল চ্যালেজার্স বেঙ্গালুরুকে প্লে-অফেও নিয়ে গেছেন দয়াল। ম্যাচসেরার পুরষ্কারটি তারই প্রাপ্য ছিল বলে মনে করেন ফাফ ডু প্লেসি।
প্লে অফ নিশ্চিত করতে হলে এ দিন চেন্নাইকে অন্তত ১৮ রানে হারাতে হতো বেঙ্গালুরুকে। তাহলেই কেবল রানরেটে এগিয়ে থেকে প্লে-অফের সমীকরণ নিশ্চিত হতো বেঙ্গালুরুর। দয়ালের অসাধারণ শেষ ওভারে সেটাই করেছে তারা। ম্যাচ জিতেছে ২৭ রানে।
২১৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা চেন্নাই ২০১ রান করলেই প্লে অফের টিকিট কাটতে পারত। এই সমীকরণ মেলাতে শেষ ওভারে তাদের দরকার ছিলো ১৭ রান। দয়ালের প্রথম বলেই ফাইন লেগে বিশাল এক ছক্কা হাঁকান দলটির কিংবদন্তি মহেন্দ্র সিং ধোনি।

৫ বলে তখন ১১ রান লাগত চেন্নাইয়ের। পরের বলটি স্লোয়ার দেন দয়াল। সেটি হাঁকাতে গিয়ে স্কয়ার লেগে ক্যাচ দেন ধোনি। তারপরের চার বলে দয়াল মাত্র ১ রান দেন। শার্দুল ঠাকুর ওভারের তৃতীয় বলে রান নিতে পারেননি, চতুর্থ বলে নেন এক রান। শেষ দুই বলে কিছুই করতে পারেননি ২২ বলে ৪২ রানে অপরাজিত থাকা জাদেজা।
ফলে প্রথম আট ম্যাচে মাত্র একটি জয় পাওয়া বেঙ্গালুরু জিতে যায় ম্যাচটি। ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে ৩৯ বলে ৫৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন ডু প্লেসি। পরে আজিঙ্কা রাহানে এবং মিচেল সান্টনারের ক্যাচও লুফে নেন তিনি। এর মধ্যে সান্টনারের ক্যাচটি ফসকে গেলে সেটি ছয় হয়ে যেত। এমন অনবদ্য পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরা হন তিনি।
ম্যাচ শেষে ডু প্লেসি বলেন, 'ম্যাচটি খুবই ক্লোজ ছিল। সেখানে এমএস ধোনি ছিল। আমার মনে হয়েছে, ওহ ঈশ্বর, এমনটা যেন না হয়... ম্যাচটা এভাবে শেষ না হোক। সে (ধোনি) এমনটা অসংখ্যবার করেছে।'
'আমার মনে হয় ভেজা বলে আমরা যেভাবে বোলিং করেছি (সেটা দারুণ)...আমরা বলটি কয়েকবারই পরিবর্তন করতে চেয়েছি...কেননা এই বলে বোলিং করা কঠিন ছিল। আমি ম্যাচসেরার পুরষ্কারটি ইয়াশ দয়ালকে উৎসর্গ করতে চাই। সে আজ রাতে যেভাবে বোলিং করেছে সেটা অসাধারণ। ম্যাচসেরার পুরষ্কার তারই প্রাপ্য।'