সল্ট-আভিস্কাদের আনতে না পারার আক্ষেপ চট্টগ্রামের

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বিপিএল শুরুর আগে ফিল সল্টকে দলে নিয়ে বড় চমক দিয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টি শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশে আসার কথা ছিল না ইংল্যান্ডের এই ওপেনারের। তবে অনাপত্তি পত্রের ঝামেলায় শেষ পর্যন্ত সল্টকে পায়নি চট্টগ্রাম। যার ফলে ব্যাটিংয়ে ভুগতে হয়েছে তাদের।
সাসেক্সের মতো এনওসি নিয়ে ঝামেলা করেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটও (এসএলসি)। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ শেষ করে চট্টগ্রামের হয়ে আবারও খেলতে আসার কথা ছিল আভিস্কা ফার্নান্দোর। চট্টগ্রামের হয়ে খেলার কথা ছিল কুশল মেন্ডিসেরও। এনওসি এবং চোটের কারণে তাকেও পায়নি তারা। যার ফলে ব্যাটিং ব্যর্থতা বয়ে নিয়ে বেড়াতে হয়েছে চট্টগ্রামকে।

ফরচুন বরিশালের কাছে হেরে প্লে অফ থেকে বিদায় নেয়ার পর এনওসি জটিলতায় বিদেশি ক্রিকেটার আনতে না পারার আক্ষেপ করেছেন শুভাগত হোম। যদিও চট্টগ্রামের অধিনায়ক মনে করেন, তারা আরও একটু ক্যালকুলেটিভ ক্রিকেট খেলতে পারতো। শুভাগত বলেন, ‘ বিদেশিও আমরা সেরকম আনতে পারেনি এনওসি (জটিলতার কারণে) অনেক ঝামেলায়। আরেকটু যদি ক্যালকুলেটিভ ক্রিকেট খেলতে পারতাম তাহলে হয়ত ভালো কিছু হতো।’
গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে উইকেট পাওয়ার পর উদযাপন করতে গিয়ে চোটে পড়েছেন শহিদুল ইসলাম। ১৫ দিনের বিশ্রামে থাকায় বরিশালের বিপক্ষে পাওয়া যায়নি ১১ উইকেট নেয়া ডানহাতি এই পেসারকে। শহিদুলকে না পাওয়ায় বোলিং ইউনিট দূর্বল হয়েছে বলে জানান শুভাগত।
ডানহাতি এই পেসারকে নিয়ে আক্ষেপ করে চট্টগ্রামের অধিনায়ক বলেন, ‘হ্যাঁ এটা কিছুটা হয়ত মোমেন্টাম আমরা হারিয়েছি। শহিদুল টুর্নামেন্টজুড়ে খুব ভালো করেছে। প্রতি ম্যাচেই ব্রেক থ্রু দিয়েছে। সে না থাকায় আমাদের বোলিং ইউনিট কিছুটা (ক্ষতিগ্রস্ত) হয়েছে।’
বিপিএলের শুরুতে কাগজে-কলমে সেরা দলের দল হিসেবে বিবেচনা না করা হলেও শেষ পর্যন্ত প্লে অফ খেলেছে চট্টগ্রাম। পুরো টুর্নামেন্টে নিজেদের পারফরম্যান্স নিয়ে খুশি শুভাগত। তিনি বলেন, ‘আমি টুর্নামেন্টজুড়ে বলব যে আমি সন্তুষ্ট। আমরা যেভাবে ক্রিকেট খেলেছি, প্লে-অফে খেলেছি। প্লে-অফে হয়ত ভালো করতে পারিনি। ছেলেরা যেভাবে খেলেছে যেভাবে পারফর্ম করেছে আত্মবিশ্বাসের সাথে মোমেন্টাম এনে দিয়েছে আমি খুশি।’