‘বড় প্লেয়াররা সঠিক সময়ে পারফর্ম না করলে ম্যাচ জেতা যাবে না’

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে প্লে অফ নিশ্চিত করে ফেলেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তবে সেরা দুইয়ে থাকতে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প ছিল না লিটন দাসের দলের সামনে। এমন সমীকরণের ম্যাচে টেবিলের প্রায় তলানিতে থাকা দলটির কাছে ১২ রানে হেরেছে কুমিল্লা।
লিটন এই হারকে 'রিয়েলিটি চেক' হিসেবে ধরে নিচ্ছেন। এই ম্যাচে অধিনায়ক লিটন খেলেছেন৫৮ বলে ৮৫ রানের দারুণ এক ইনিংস। শেষ ওভার পর্যন্ত উইকেটে থাকলেও দলকে জেতাতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। শেষ ওভারে জিততে হলে কুমিল্লার প্রয়োজন ছিল ২৫ রান।

সিলেটের পেসার তানজিম হাসান সাকিব উল্টো চাপে ফেলে লিটন এবং রাসেলের উইকেট তুলে নিয়েছেন। অভিজ্ঞ দুই ব্যাটার ক্রিজে থাকলেও ম্যাচ জিততে না পারায় আক্ষেপ হচ্ছে লিটনের। সঠিক সময়ে পারফর্ম না করলে ম্যাচ জেতা সম্ভব নয় বলেও মনে করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে লিটন বলেন, 'অধিনায়ক হিসেবে আমি মনে করি ভালোই হয়েছে। ক্রিকেটে আপনি প্রতিদিন আসবেন, জয় নিয়ে যাবেন, তখন আপনার বডি এমনিই রিল্যাক্স হয়ে যাবে। আমার মতে, এটা রিয়েলিটি চেক দিয়েছে আমাদের। আপনার হাতে বড় প্লেয়ার আছে, কিন্তু আপনি যদি সঠিক সময়ে পারফর্ম না করেন তাহলে ম্যাচ জিততে পারবেন না। আজকেই তার প্রমাণ। আমার মনে হয়, আমরা ভালো কামব্যাক করতে পারব।'
সুনীল নারিন-আন্দ্রে রাসেলরা কুমিল্লার ঘরের ছেলে হয়ে উঠেছেন। বেশ কয়েক বছর তাদের সঙ্গেই খেলেছেন লিটন। তাই তাদের মতো বড় ক্রিকেটারদের নেতৃত্ব দেয়া কঠিন কাজ নয় বলেই মনে করেন লিটন। এ ছাড়া তারা প্রত্যেকেই নিজেদের রোল জানেন এ কারণে কাজটা তার জন্য বেশ সহজ।
লিটনের ভাষ্য, '(টি-টোয়েন্টির বড় নামদের নেতৃত্ব দেওয়া) আমাদের যে ক্রিকেটারগুলো খেলছে, রাসেল-সুনীল... ৩-৪ বছর ধরে কুমিল্লায়ই খেলছে। আমিও একই দলে খেলি। তো তারা অনেকটা পরিবারের মতো। বিশ্ব জুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলে বেড়ায়। তাদের হ্যান্ডেল করা খুব সহজ। তারা নিজেদের রোল জানে। তাই কোনো সমস্যা নেই।'
এই ম্যাচে বড় ইনিংস খেলেও সেঞ্চুরি পাননি লিটন। এরপরও আক্ষেপ নেই বলে লিটন বলেছেন, '(সেঞ্চুরি না থাকার আক্ষেপ) না কোনো আক্ষেপ নেই। বললাম তো, ম্যাচ জিততে পারলে আক্ষেপ হতো না। এরকম একটা বড় রান তাড়ায় যদি ৫০ রান করেও জেতানো যায়, সেটা অনেক খুশির ব্যাপার। তবে আপনি ৯০ রানের কাছাকাছি বা ৮০ রান, যা-ই করেন, দিন শেষে তো হেরে গেছি। দুই পয়েন্ট হারিয়েছি। এদিক থেকে একটু হতাশ।"