টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরে ক্লাসেন

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সাউথ আফ্রিকার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নেই ক্লাসেন
৭ এপ্রিল ২৫
লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন হেনরিখ ক্লাসেন। সাউথ আফ্রিকার হয়ে ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মাত্র চারটি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও সাদা বলের ক্রিকেটে নিয়মিতই দেখা যাবে ৩২ বছর বয়সী ক্লাসেনকে।
কয়েকদিন আগেই ভারতের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ দিয়ে ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন ডিন এলগার। চলতি বছর দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট ছাড়লেন ক্লাসেন। তিনি অবশ্য ভারত সিরিজে খেলেননি। শেষবার খেলেছিলেন গত গ্রীষ্মে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।
এক বিবৃতিতে ক্লাসেন বলেন, ‘সঠিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছি কি না, সেটা ভেবে কয়েকটি নির্ঘুম রাত কাটানোর পর আমি লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা কঠিন সিদ্ধান্ত, কারণ ক্রিকেটে বেশ বড় ব্যবধানে এটি আমার সবচেয়ে প্রিয় সংস্করণ।’

‘মাঠে এবং মাঠের বাইরে যে লড়াইয়ের মুখোমুখি হয়েছি, সেগুলোই আমাকে আজকের ক্রিকেটার বানিয়েছে। দারুণ একটি ভ্রমণ ছিল এবং আমি দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আনন্দিত। যেগুলো পেয়েছি, এর মধ্যে আমার ব্যাগি টেস্ট ক্যাপটিই সবচেয়ে মূল্যবান।’
ঘরের মাঠে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবে ভারত
৩ এপ্রিল ২৫
সাউথ আফ্রিকার টেস্ট দলের হেড কোচ শুকরি কনরাড অবশ্য জানিয়েছিলেন, তার পরিকল্পনায় বেশ ভালোভাবেই আছেন ক্লাসেন। যদিও সাউথ আফ্রিকার হয়ে সাম্প্রতিক সময়ে উইকেটরক্ষক হিসেবে নিয়মিতই টেস্ট খেলতে দেখা যায় কাইল ভেরাইনিকে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতেও কনরাড জানিয়েছিলেন, টেস্ট ভেরাইনির চাইতে ক্লাসেনকে ব্যাটার হিসেবে এগিয়ে রাখেন তিনি। এ কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে ক্লাসেনকে দলেও নিয়েছিলেন তিনি। সেই সিরিজে চার ইনিংসে ৫৬ রান আসে ক্লাসেনের ব্যাটে।
সেই মৌসুমে ঘরোয়াতে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক বনে যান ভেরাইনি। তারপর দলেও ফেরেন তিনি। শেষবারের ভারত সিরিজের দল ঘোষণার আগে কনরাড অবশ্য জানিয়েছিলেন, আপাতত ভেরাইনিকে বিবেচনা করলেও আগামী টেস্ট দলে বিবেচনায় থাকবেন ক্লাসেন।
যদিও সেই সুযোগটি আর দিলেন না আইপিএল, এমএলসি, দ্যা হান্ড্রেড মাতানো এই ক্রিকেটার। সাউথ আফ্রিকার জার্সিতে চার ম্যাচে ক্লাসেন করেন ১০৪ রান। ২০১৯ সালে রাঁচিতে ভারতের বিপক্ষে অভিষেকের তিন বছরেরও বেশি সময় পর গত বছর ক্লাসেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্টটি খেলেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিডনিতে। তারপর দেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলেন দুটি টেস্ট।