নিলামের আগে থেকেই মুস্তাফিজের ওপর নজর ছিল চেন্নাইয়ের

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বিশ্রামের শর্তে মোহামেডানে মুস্তাফিজ, খেলবেন ফরহাদ-নাবিলও
১৬ এপ্রিল ২৫
কয়েকদিন আগেই ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) নিলাম থেকে ভিত্তিমূল্য ২ কোটি রুপিতে মুস্তাফিজুর রহমানকে দলে টেনেছে চেন্নাই সুপার কিংস। বাংলাদেশি পেসারের ওপর চেন্নাইয়ের নজর অবশ্য নিলামের আগে থেকেই ছিল। এমনটা জানিয়েছেন দলটির প্রধান নির্বাহী কাশি বিশ্বনাথন।
এর আগে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, দিল্লি ক্যাপিটালসের জার্সিতে খেললেও এবারই পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইয়ের জার্সিতে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন মুস্তাফিজ। বাঁহাতি এই পেসারের পাশাপাশি ড্যারিল মিচেল, রাচিন রবীন্দ্র, শার্দুল ঠাকুর, সামির রিজভী এবং আভানিশ রাওকে দলে ভেড়ায় চেন্নাই।

এবারের নিলামে যাদেরই চেন্নাই চেয়েছে, তাদেরই তারা দলে ভেড়াতে পেরেছে বলে মতামত দেন বিশ্বনাথন, 'যাদেরকে নেওয়ার লক্ষ্য ছিল আমাদের, মোটামুটি তাদের সবাইকেই পেয়েছি। ড্যারিল মিচেলকে নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা ছিল।'
লক্ষ্ণৌকে হারিয়ে দিল্লির আটে ছয়
৮ ঘন্টা আগে
'আমাদের মনে হয়েছে, চিপকের উইকেটে এবং সেখানে দুই পাশের সীমানা যেমন, মুস্তাফিজুর রহমান ভালো একটি পছন্দ হতে পারে। আমাদের ভাবনায় ছিল এসব। তবে আমরা নিশ্চিত ছিলাম না, তাদেরকে আমরা পাব কি না। সৌভাগ্যবশত, এবার নিলাম বেশ ভালো কেটেছে আমাদের।'
সাম্প্রতিক সময়ে মুস্তাফিজের পারফরম্যান্সে শঙ্কা জাগিয়েছিল আইপিএলের আগামী মৌসুমে তার দল পাওয়া নিয়ে। কেননা সবশেষ বিশ্বকাপে বল হাতে বলার মতো তেমন কিছুই করতে পারেননি মুস্তাফিজ। পুরো বছর জুড়েই বিবর্ণ পারফরম্যান্স ছিল বাঁহাতি এই পেসারের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভিত্তিমূল্যেই মহেন্দ্র সিং ধোনির দল এই পেসারকে দলে ভেড়ায়।
আইপিএলের গত দুই আসরে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলেছেন মুস্তাফিজ। ২০২২ আসরে আট ম্যাচে তিনি উইকেট নেন ৮টি। ২০২৩ আসরে সুযোগ পান মাত্র দুটি ম্যাচে, উইকেট পান একটি। ২০২৪ আসর সামনে রেখে তাকে ছেড়ে দেয় দিল্লি।
২০১৬ সালে আইপিএলে প্রথমবারের মতো সুযোগ পান মুস্তাফিজ। সেবার হায়দরাবাদের শিরোপা জয়ে তার ছিল বড় অবদান। সব মিলিয়ে আইপিএলে ছয় আসরে ৪৮ ম্যাচ খেলে ওভারপ্রতি ৭.৯৩ রান দিয়ে মুস্তাফিজের উইকেট ৪৭টি। ১৬ রানে ৩ উইকেট তার সেরা বোলিং।