উইন্ডিজদের গুড়িয়ে দিয়ে ইনিংস ব্যবধানে জয় দক্ষিণ আফ্রিকার

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাটিং বিপর্যয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২২৫ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নেমে প্রোটিয়া পেসার কাগিসো রাবাদা আর এনরিক নর্কিয়ার আগুনে বোলিংয়ে ১৬২ রানেই অলআউট তারা। ফলে ইনিংসও ৬৩ রানের পরাজয় বরণ করে নিতে হয়েছে ক্রেগ ব্রাথওয়েটের দলকে। আর ১১ বছর পর ক্যারিবিয় সফর করে প্রথম টেস্টেই ইনিংস ব্যবধানে জিতলো দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রথম ইনিংসে মাত্র ৯৭ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে কুইন্টন ডি ককের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা করে ৩২২ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬২ রানের মধ্যেই ১০ উইকেট পড়ে যাওয়ায় আর হার এড়াতে পারেনি স্বাগতিকরা। রাবাদা একাই নিয়েছেন ৫ উইকেট আর নর্কিয়ার শিকার ৩টি।
বোলিং সহায়ক উইকেট, ছিল অসমান বাউন্স। এই উইকেটে ব্যাটিংয়ের জন্য যে চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞা প্রয়োজন তা দেখাতে পারেনি ক্যারিবিয়ানরা। ৪ উইকেটে ৮২ রান নিয়ে দিন শুরু করা দলটি সপ্তম ওভারে হারায় জার্মেইন ব্ল্যাকউডকে। রাবাদার ফুল লেংথ বলে ড্রাইভ করে শর্ট কাভারে ধরা পড়েন তিনি।
জেসন হোল্ডারকে দ্রুত ফেরান কেশব মহারাজ। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রাখেন রোস্টন চেইস। ১২২ বলে ফিফটি করার পর বেশিক্ষণ টিকেননি তিনিও। ৭ চার ও এক ছক্কায় ৬২ রান করে মহারাজের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরের পথ ধরেছেন।

রাকিম কর্নওয়াল ও জশুয়া ডি সিলভাকে ফিরিয়ে দেন রাবাদা। কর্নওয়াল ফেরেন কোন রান যেগ করার আগেই। কিন্তু থিতু হয়েও দলকে টানতে পারেননি দা সিলভা। তিনি আউট হয়েছেন মাত্র ৯ রান করে। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে অভিষিক্ত জেডেন সিলসকে ফিরিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন অবশ্য নর্কিয়া।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ (১ম ইনিংস): ৯৭/১০ (৪০.৫ ওভার) (হোল্ডার ২০, ব্রাথওয়েট ১৫, হোপ ১৫; এনগিদি ৫/১৯, নরকিয়া ৪/৩৫)
দক্ষিণ আফ্রিকা (১ম ইনিংস): ৩২২/১০ (ওভার ৯৬.৫) (ডি কক ১৪১, মার্করাম ৬০, ভ্যান ডার ডুসেন ৪৬, হোল্ডার ৪/৭৫)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ (দ্বিতীয় ইনিংস): ১৬২/১০ (ওভার ৬৪) (চেস ৬২, ব্ল্যাকউড ১৩, রোচ ১৩*, সিলস ৩; রাবাদা ৫/৩৪, নরকিয়া ৩/৪৬)।
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংস ও ৬৩ রানে জয়ী।
ম্যান অব দা ম্যাচ: কুইন্টন ডি কক।