সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতলো পাকিস্তান

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
পাকিস্তান দলে ফিরলেন আফ্রিদি, টি-টোয়েন্টিতে ব্রাত্য বাবর
২৫ জুলাই ২৫
জয়ের জন্য শেষ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন মাত্র ৩ রান। স্ট্রাইক প্রান্তে ২৯ বলে ৩৩ রানে শাদাব খান থাকায় সমীকরণটি একেবারে সহজই মনে হচ্ছিলো পাকিস্তানের জন্য। তবে প্রথম বলে শাদাবকে ফিরিয়ে রোমাঞ্চর শেষ ওভারের আভাস দেন অ্যান্ডি ফ্লেকওয়ে। শাদাব ক্যাচ আউটে ফেরায় দ্বিতীয় বল মোকাবেলা করেন ফাহিম আশরাফ। প্রথম বল মিড অনে ঠেলে দিলেও পরের দুই বলে ফ্লেকওয়ের বাউন্সারে পরাস্ত হতে হয় ফাহিমকে। এর ফলে সমীকরণ দাঁড়ায় ২ বলে ৩ রান।
টানা তিন বল ডট দিলেও পঞ্চম বলে লং অফ ও লং অনের মাঝে ঠেলে দিয়ে দুই রান নিয়ে স্কোর লেভেল করেন ফাহিম। শেষ বলে দক্ষিণ আফ্রিকার বেশিরভাগ ফিল্ডাররা যখন ৩০ গজের ভেতরে দাঁড়িয়ে ফাহিমকে ঘিরে ধরেছেন তখন কভার পয়েন্টের মাঝখান দিয়ে ড্রাইভ করে দলের জয় নিশ্চিত করেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ফলে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ৩ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান।

পাকিস্তানের জয়ে নিজের অধিনায়কত্বের অভিষেকটা রাঙাতে পারলেন না টেম্বা বাভুমা। কুইন্টন ডি কক অধিনায়কের দায়িত্ব ছাড়ার পর বাভুমার হাতে সেই আর্মব্যান্ড তুলে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট (সিএসএ)। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ দিয়েই অধিনায়কত্বের অভিষেক হলো বাভুমার। তবে সেটা হলো হার দিয়ে।
জয়ের জন্য ২৭৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই ফখর জামানকে হারায় পাকিস্তান। দলীয় মাত্র ৯ রানে ফখর ফিরলেও শুরুর বিপর্যয় সামাল দেন বাবর আজম ও ইমাম উল হক। শুরুর দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারদের বিপক্ষে ধুঁকলেও পরবর্তীতে দ্রুতগতিতে রান তুলেছেন তারা।
১৭৭ রানের অনবদ্য জুটিতে পাকিস্তানের জয়ের ভিত গড়ে দেন তাঁরা দুজন। ১০৪ বলে ১০৩ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে বাবর বিদায় নিলে ভাঙে তাঁদের এই জুটি। ইনিংসটি খেলতে ১৭টি চার মেরেছেন পাকিস্তানের এই অধিনায়ক। বাবর সেঞ্চুরি তুলে নিলেও ৩০ রানের আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয়েছে ইমাম উল হককে।
৮০ বলে ৭০ রানের ইনিংসটি খেলতে ৩টি চার ও একটি ছক্কা মেরেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ানের ৫২ বলে ৪০ ও শাদাবের ৩৩ রানের সুবাদে জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তান। প্রোটিয়াদের হয়ে ৪টি উইকেট নিয়েছন অ্যানরিক নরকিয়া, দুটি ফ্লেকওয়ে আর একটি উইকেট নিয়েছেন কাগিসো রাবাদা।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুর দিকে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়লেও সেটা সামাল দেন রাসি ভ্যান ডার ডুসেন ও ডেভিড মিলার। তাঁদের দুজনের ১১৬ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তুলে ৫৫ রানে ৪ উইকেট হারানো দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ পর্যন্ত ডুসেন প্রথম ১২৩, মিলারের ৫০ ও ফ্লেকওয়ের ২৯ রানের সুবাদে ৬ উইকেটে ২৭৩ রানের সংগ্রহ পেয়েছিল প্রোটিয়ারা।