শেষ ম্যাচেও হার, জয় শূন্য বাংলাদেশ লিজেন্ডস

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজে নিজেদের শেষ ম্যাচেও হার দেখতে হয়েছে বাংলাদেশ লিজেন্ডসকে। টুর্নামেন্টটিতে নিজেদের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা লিজেন্ডসের কাছে ১০ উইকেটে হেরেছে তাঁরা। ফলে টুর্নামেন্টের সবগুলো ম্যাচে হেরে জয়শূন্য থেকেই বাড়ি ফিরছে বাংলাদেশ লিজেন্ডস।
জয়ের জন্য ১৬১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই দারুণ ব্যাটিং করেন দক্ষিণ আফ্রিকা লিজেন্ডসের দুই ওপেনার মর্নে ভ্যান উইক এবং অ্যান্ড্রু প্যাট্টিক। দুজনের অনবদ্য ১৬১ রানের জুটিতে ৪ বল বাকি থাকতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে প্রোটিয়া লিজেন্ডসরা। ৮২ রানে প্যাট্টিক ও ৬৯ রানে ভ্যান উইক অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে টসে হেরে আগে ব্যাট করার আমন্ত্রণ পায় বাংলাদেশ। দলের হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নামেন দারুণ ফর্মে থাকা মোহাম্মদ নাজিমউদ্দিন এবং মেহরাব হোসেন অপি। এই দুজনের উদ্বোধনী জুটিতে ভালোই শুরু করে বাংলাদেশ। তবে দলীয় ২৯ রানে অপি রান আউট হলে প্রথম ধাক্কা খায় বাংলাদেশ।

এরপর ইনিংস বড় করতে উইকেটে আসেন মারকুটে অলরাউন্ডার আফতাব আহমেদ। অন্যদিকে বরাবরের মতো এই ম্যাচেও রান তুলতে থাকেন নাজিমউদ্দিন। তবে দলীয় ৫০ রানে নাজিমউদ্দিন আউট হলে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ।
৩৩ বলে ৩২ করে ফেরা নাজিমউদ্দিনের পর ব্যাটিংয়ে আসেন হান্নান সরকার। এরপর এই দুজনের জুটিতে ভর করে দলীয় শতরান পার করে রফিকের নেতৃত্বাধীন দল। ৩ ছয় আর ১ চারে আফতাব থামেন ৩৯ রানে। দলীয় ১১১ রানে ৩ উইকেট হারালে ব্যাটিংয়ে আসেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান খালেদ মাসুদ পাইলট।
ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিলেও শেষ করতে পারেননি হান্নান। ৩১ বলে ৩৬ করে ফেরেন বোল্ড আউট হয়ে। ১ ছয় ৩ চারে সাজানো ইনিংসের সমাপ্তি ঘটলে ব্যাট হাতে নামেন অধিনায়ক নিজেই। তবে তাঁর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে ইনিংসের ১৮ তম ওভারে রান আউটের শিকার হন পাইলট।
৯ বলে ১৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলা পাইলটের ফেরার পরের বলেই আউট হন আব্দুর রাজ্জাক। সদ্য সাবেক হওয়া এই ক্রিকেটার রানের খাতা খুলতেই ব্যর্থ হন। এর পরের ওভারে ফেরেন রফিক নিজেই। আউট হওয়ার আগে ৬ বলে ৭ রান করেন তিনি।
ইনিংসের শেষ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে ৭ রান নিলে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রানেই থামে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকা লিজেন্ডসের হয়ে বল হাতে ২ উইকেট নিয়েছেন এনটিনি ও থান্ডি শাবালালা। এছাড়া ১ টি করে উইকেট পেয়েছেন গার্নেট ক্রুজার, জান্ডার ডি ব্রুইন ও মন্ডে জোন্দেকি।