টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বললেন ডু প্লেসিস

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন ফাফ ডু প্লেসিস। নিজের ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতের মাধ্যমে অবসরের ঘোষণা দেন তিনি। মূলত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আরো মনযোগী হতে এবং নিজেকে এই ফরম্যাটের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে তুলতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এই অধিনায়ক।
২০১২-১৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এ্যাডিলেড টেস্টে অভিষেক ঘটে ডু প্লেসির। অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমেই দুই ইনিংসে খেলেছিলেন ৭৮ ও ১১০ রানের একটি অপরাজিত ইনিংস। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে তিনি খেলেছেন ৬৯ টি টেস্ট। যেখানে ১০ টি সেঞ্চুরি এবং ২১ টি হাফ সেঞ্চুরির সঙ্গে তিনি করেছেন মোট ৪ হাজার ১৬৩ রান। ২০১৬ সালে এবি ডি ভিলিয়ার্সের পর প্রোটিয়াদের অধিনায়কত্বের দায়িত্বও পান ডু প্লেসি।

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি মোট ৩৬ টি ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার অধিনায়কত্বেই প্রোটিয়ারা ১৮ টি জয় এবং ১৫ টি পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছিল। সর্বশেষ পাকিস্তান সফরের দলেও ছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। যেখানে ব্যাট হাতে খুব একটা ভালো সময় যায়নি তার। অবশেষে তো টেস্ট ক্রিকেটকেই বিদায় বলে ফেললেন। যদিও মনে কোন ধরণেই আক্ষেপ নেই ডু প্লেসির। দেশের হয়ে সব ধরণের ক্রিকেট খেলতে পারা তার জন্য সম্মানের ছিল বলে জানান তিনি।
ইন্সটাগ্রামের বিবৃতিতে ডু প্লেসি জানান, 'এই বছরটা আমাদের সকলের জন্য খারাপ গেছে এবং আমরা তা থেকে উত্তোরনে চেষ্টা করছি। এই সময়টা অনিশ্চিত ছিল তবে তারা আমার পক্ষে অনেক দিক থেকে স্পষ্টতা এনেছে। আমার মনে কোন আক্ষেপ নেই এবং নতুন অধ্যায় শুরু করার এটাই সময় সঠিক। সকল ফরম্যাটেই দেশের হয়ে খেলতে পারা আমার জন্য অনেক সম্মানের ছিল। তবে সময় এসেছে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার।'
টেস্ট ক্রিকেটে বিদায় বললেও দেশের হয়ে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে খেলে যেতে চান ডু প্লেসি। ২০২০ এবং ২০২১ সালে দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ রয়েছে। যেখানে আরো মনযোগী হতে চান তিনি। এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খেলে এই ফরম্যাটের একজন সেরা ক্রিকেটার হিসেবেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান বলে জানান এই ৩৬ বছর বয়সী ক্রিকেটার।
এ প্রসঙ্গে ডু প্লেসি বলেন, 'পরের দুইবছর আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বছর। এই কারণেই আমি এই ফরম্যাটের দিকে আরো মনযোগী হতে চাই। আমি বিশ্বব্যাপী যতটা সম্ভব এই ফরম্যাটে খেলে যেতে চাই যাতে আমি সেরা খেলোয়াড় হতে উঠতে পারি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই ফরম্যাটে প্রোটিয়াদের জন্য আমার অনেক কিছু দেয়ার আছে। এর অর্থ এই নয় যে ওয়ানডে ক্রিকেট এখন আর আমার পরিকল্পনায় নেই। আমি স্বল্পমেয়াদে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকেই প্রাধান্য দিচ্ছি।'