মধুর প্রতিযোগিতায় দুই বন্ধু

ছবি:

ক্রিকেটের যে কোন ফরম্যাটেই ওয়ান ডাউন অর্থাৎ তিন নম্বর পজিশনটাকে সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ পজিশন বলা হয়। এই পজিশনে খেলেই বিশ্ব ক্রিকেটে আধিপত্য বিস্তার করেছেন রিকি পন্টিং-কুমার সাঙ্গাকারাদের মতো লিজেন্ডরা।
অস্ট্রেলিয়া,ভারত বা ইংল্যান্ড যে দলই হক না কেন তিন নম্বর পজিশনে তারা তাদের সেরা ব্যাটসম্যানকে খেলিয়ে থাকেন। কিন্তু বাকি দলগুলো যেখানে এই পজিশনে নিজেদেরকে একজন নির্ধারিত ব্যাটসম্যানকে খুঁজে পেয়েছে সেখানে বাংলাদেশকে প্রতিনিয়ত এই পজিশনে যোগ্য ব্যাটসম্যান নিয়ে ভুগতে হচ্ছে।
কখনও সৌম্য, কখনও ইমরুল বা কখনও সাব্বির, এদের সবাইকে দিয়েই তিন নম্বরে ব্যাটিং করিয়েছে বাংলাদেশ দলের টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু এদের কেউই এই জায়গায় নিজেদের পাকাপোক্ত করে তুলতে পারেননি।

শেষ পর্যন্ত চলমান ত্রিদেশীয় সিরিজে তিন নম্বর পজিশনে ব্যাট করার জন্য এগিয়ে এসেছেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে ভালোই খেলেছেন তিনি।
শ্রীলংকার বিপক্ষে ফিফটিও পেয়েছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। আর টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল মনে করেন সাকিব তিনে ব্যাট করার কারণে বাকিদের সঙ্গে তার প্রতিযোগীতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
সাকিবের পাশাপাশি মুশফিককেও এই পজিশনের জন্য যোগ্য মনে করেন তামিম। সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এসে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান জানান, 'ভালো হবে যদি প্রতিযোগিতা জমে। আমার কাছে মনে হয় যে দলের মধ্যে যদি স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা থাকে। এটা সব সময়ই ভাল।
আমি যদি কাউকে হারাতে চাই, ইনফ্যাক্ট ও যদি আমাকে হারাতে চায়। এটা সব সময় ভাল। সাকিব তিনে ব্যাট করায় অনেক বেশি ওভার ব্যাট করতে পারবে। এইজন্য আমাকেও মনে রাখতে হবে যে আমাকে পারফর্ম করতে হবে উপরে থাকতে হলে। কেবল সাকিব না , মুশফিকও আছে।
সেও অনেক রান করে ফেলেছে। ২০১৭ সালে দারুণ বছর গেছে ওর। স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা থাকলে ব্যাটিং সাইড বলেন বা বোলিং। এটা দলের জন্য ভাল। রুবেল ১০০ উইকেট পেয়েছে, এখন ২০০ উইকেটের জন্য খেলবে। সাত বছরে ১০০ হয়েছে। এখন ওর টার্গেট থাকা উচিত তিন বছরে আরও ১০০ নিতে।'