আগারকারদের ‘চাপে’ অবসরে যেতে বাধ্য হন কোহলি, ধারণা কাইফের

ছবি: অজিত আগারকার (বামে) ও বিরাট কোহলি (ডানে), ফাইল ফটো

সাবেক ভারতীয় ব্যাটার মোহাম্মদ কাইফ সম্প্রতি এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কোহলির বিদায় নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তিনি মনে করেন, আগারকারের নেতৃত্বাধীন নির্বাচক প্যানেলের চাপেই টেস্ট থেকে সরে দাঁড়াতে হয়েছে কোহলিকে।
কোহলি-রোহিত না থাকলেও ভারতে প্রতিভার কোনো ঘাটতি নেই: অ্যান্ডারসন
১৪ মে ২৫
'আমার মনে হয় সে এই সংস্করণ চালিয়ে যেতে চেয়েছিলো। বিসিসিআইয়ের সঙ্গে নিশ্চয়ই কোন অভ্যন্তরীণ আলাপ হয়েছে। গত ৫-৬ বছরের তার ছন্দের কথা তুলে নির্বাচকরা হয়ত বলেছিলো দলে তার জায়গা নাও হতে পারে। আমরা জানতে পারব না আসলে কি হয়েছে। পর্দার আড়ালে কি হয়েছে বোঝা কঠিন।'
কাইফ এখানে থেমে থাকেননি। তিনি আরও জানান ইংল্যান্ড সফর সামনে রেখে কোহলি নিজেও প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এমনকি এই বছর জানুয়ারিতে ১৩ বছর পর রঞ্জি ট্রফিতে খেলতে নামাও ছিল সেই প্রস্তুতিরই একটি অংশ। বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির পর বিসিসিআই যেখানে খেলোয়াড়দের রঞ্জিতে অংশ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছিল, সেখানেও সাড়া দিয়েছিলেন কোহলি।

এটা তো স্কুল নয়, নিয়ম কোনো শাস্তিও নয়: আগারকার
১৯ জানুয়ারি ২৫
'রঞ্জি ট্রফি খেলার পর, আমি নিশ্চিতভাবে মনে করি সে আসন্ন টেস্টে ফিরতে চেয়েছিল। গত কয়েক সপ্তাহে যা ঘটেছে, তাতে সম্ভবত সে বিসিসিআই এবং নির্বাচকদের কাছ থেকে যে সমর্থন আশা করেছিল, তা পায়নি।'
তবে ব্যাট হাতেও খুব একটা স্বস্তিতে ছিলেন না কোহলি। গত অস্ট্রেলিয়া সফরে প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করলেও, এর আগে বা পরে রান খরার মধ্যেই ছিলেন তিনি। শেষ পাঁচ বছরে কেবল তিনটি সেঞ্চুরি আসে কোহলির ব্যাটে।
কাইফের বিশ্লেষণে, 'বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে তাকে রান করার জন্য তাড়াহুড়ো করতে দেখা গেছে... বারবার তার ব্যাট ছুঁয়ে বাইরের দিকে যাওয়া বল দেখে আমার মনে হয়েছে তার ধৈর্য কিছুটা কম ছিল। হয়তো সে ভাবছিল ‘আমার ক্যারিয়ারের শেষ পর্যায়, কষ্ট করে সেঞ্চুরি করে আর কী লাভ।’ আগে তার মধ্যে অন্যরকম ধৈর্য দেখা যেত... কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় আমি তার মধ্যে সেটা দেখিনি।'