কোটিয়ানের অভিষেকের ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন রোহিত

ছবি: চলতি বছরের শুরুতে দশম উইকেটে ২৩২ রানের জুটি গড়েছিলেন তানুশ কোটিয়ান, ফাইল ছবি

চলতি বছরের শুরুতে রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে দশম উইকেটে তুষার দেশপান্ডের সঙ্গে ২৩২ রানের জুটি গড়েছিলেন কোটিয়ান। এমন দিনে সেঞ্চুরি পেয়ে সবার কেড়েছিলেন এবং আলোচনাতেও এসেছিলেন তিনি। এবার নতুন করে আলোচনায় এলেন প্রথমবারের মতো ভারতের টেস্ট দলে ডাক পেয়েছে। অশ্বিন অবসর নেয়া স্কোয়াডে ওয়াশিংটন সুন্দর থাকার পরও ব্যাক স্পিনারের খোঁজে ছিল ভারত।
স্মৃতির সেঞ্চুরিতে লঙ্কানদের উড়িয়ে ভারতের ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়
৩ ঘন্টা আগে
অভিজ্ঞতার কারণে অস্ট্রেলিয়া সফরে ডাক পেতে এগিয়ে ছিলেন চায়নাম্যান খ্যাত কুলদীপ যাদব ও অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেল। বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির আগে ভারত ‘এ’ দলের হয়ে খেলেছিলেন কোটিয়ান। ব্যাট হাতে ৪৪ রানের পাশাপাশি বোলিংয়ে নিয়েছিলেন এক উইকেট। মাসখানেক আগেও অস্ট্রেলিয়া সফর করায় তাকে বিবেচনা করেছে ভারত। শুধু তাই নয় সবশেষ দুই বছরের পারফরম্যান্সের উদাহরণ টেনেছেন রোহিত।
রঞ্জি ট্রফির ২০২৩-২৪ মৌসুমে মুম্বাইয়ের হয়ে বল হাতে ২৯ উইকেট নিয়েছিলেন কোটিয়ান। সবচেয়ে বেশি বাজিমাত করেছিলেন ব্যাটিংয়ে। ৪১.৮৩ গড়ে ৫০২ রান করেছিলেন ২৬ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার। ৩৩ প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ১০১ উইকেট নিয়েছেন ২৫.৭০ গড়ে। ব্যাটিংয়ে দুই সেঞ্চুরি ও ১৩ হাফ সেঞ্চুরিতে করেছেন ১ হাজার ৫২৫ রান। যেখানে ৪৭ ইনিংসে তাঁর গড় ৪১.২১।

কোটিয়ানকে দলে নেয়ার ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রোহিত শর্মা বলেন, ‘ এক মাস আগেও তানুশ এখানে ছিল এবং কুলদীপের ভিসা নেই। খুব দ্রুতই আমাদের এমন একজনকে প্রয়োজন ছিল। তানুশ প্রস্তুত আছে এবং এখানে ভালো খেলেছে। মজা করলাম। গত দুই বছর ধরেই সে ভালো করছে এবং আমরা ব্যাকআপ যাচ্ছিলাম। যদি কোন কারণে মেলবোর্ন ও সিডনি দুই স্পিনার খেলাই।’
কিছুদিন আগে হার্নিয়ার অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছিল কুলদীপকে। ফলে এখনও পুরোপুরি ফিট নন বাঁহাতি এই স্পিনার। এদিকে পিতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকায় এখন অস্ট্রেলিয়ায় ভ্রমণ করতে পারবেন না অক্ষর। যার ফলে রোহিত জানান, ভারতের কাছে কোটিয়ানই সেরা অপশন ছিল।
রোহিত বলেন, ‘কুলদীপ শতভাগ ফিট নয়, সে হার্নিয়ার অস্ত্রোপচার করিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে অক্ষর বাচ্চার বাবা হয়েছে, তাই সে ভ্রমণ করতে পারতো না। তানুশই আমাদের কাছে সেরা বিকল্প ছিল এবং গত মৌসুমে মুম্বাইয়ের রঞ্জি ট্রফি জেতার পেছনে সে অন্যতম কারণ ছিল।’