সিদ্ধান্ত বদলাতে শরফুদ্দৌলাকে অনুরোধ করবে বিসিবি

ছবি: ফাইল ছবি

১২ এপ্রিল মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পারভেজ হোসেন ইমন ও মোহাম্মদ মিঠুনের বিপক্ষে আউটের আবেদন করেছিলেন মোহামেডানের ফিল্ডাররা। আউট না দেয়ায় দুই অনফিল্ড আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ও তানভীর আহমেদের সঙ্গে তর্কে জড়ান এবং অসদাচারণ করেন তারা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অধিনায়কের হৃদয়ের নামের পাশে ৪ ডিমেরিট পয়েন্ট যুক্ত করা হয়।
‘শরফুদ্দৌলা সৈকত দুর্দান্ত’, উচ্ছ্বসিত প্রশংসা হার্শার
৭ জুলাই ২৫
যার ফলে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে ৪০ হাজার টাকা জরিমানাও গুনতে হয় মোহামেডানের অধিনায়ককে। শাস্তি পাওয়ার পর ম্যাচ শেষে হৃদয় বলেন, ‘ঘটনা যদি অন্যদিকে যায়, আমি মুখ খুলব ইনশা আল্লাহ।’ এমন মন্তব্য করায় শাস্তি দ্বিগুণ করা হয় তার। নিয়ম অনুযায়ী, লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ও অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ম্যাচ মিস করার কথা ছিল ডানহাতি ব্যাটারের। রূপগঞ্জের বিপক্ষে না খেললেও অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে একাদশে ছিলেন তিনি।
হৃদয়ের শাস্তি কমানোর জন্য সিসিডিএমে আবেদন করেছিল মোহামেডান। তারা সাড়া না দেয়ায় শাস্তি কমিয়েছিল আম্পায়ার্স কমিটি, যা নিয়মের বাইরে। একমাত্র সিসিডিএম বা সিসিডিএমের টেকনিক্যাল কমিটি শাস্তি মওকুফের এখতিয়ার রাখে। এমন ঘটনার জেরে বিসিবির চাকরি ছাড়তে চেয়েছিলেন শরফুদ্দৌলা। আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যানকেও ফোনে সেই কথা জানান তিনি। তবে তাকে ফেরাতে অনুরোধ করবেন ইফতেখার।

৯ বছরের খরা কাটিয়ে ৭ উইকেটে জিতল বাংলাদেশ
১৪ মিনিট আগে
গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমাদের বেশিরভাগ আম্পায়ার তো তালিকাভুক্ত আম্পায়ার—চুক্তি না হলেও তালিকাভুক্ত। সুতরাং সৈকত সবসময় তালিকাভুক্ত আম্পায়ার থাকবে। এখন সে ছাড়বে কী ছাড়বে না এই বিষয়ে আমি এখন মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। কেন মন্তব্য করতে চাচ্ছি না—অবশ্যই, সে মনঃক্ষুণ্ণ হয়েছে এসব পরিস্থিতিতে। আম্পায়ার কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে আমার সর্বাত্মক চেষ্টা হবে তাকে অনুরোধ করব আমরা। সে তো একজন আইকন বাংলাদেশের, সে বাংলাদেশের গর্ব। এখানকার সর্বোচ্চ পর্যায়ে গেছে, কেউ ভবিষ্যতে যেতে পারবে কী পারবে না জানি না তো। ব্যক্তিগতভাবে কিংবা বিসিবির পক্ষ থেকে আমরা চেষ্টা করব।’
আইসিসির এলিট প্যানেলের আম্পায়ার হিসেবে সাম্প্রতিক সময়ে খ্যাতি অর্জন করেছেন শরফুদ্দৌলা। সবশেষ বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতেও আম্পায়ার হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। এ ছাড়া পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দেশের ম্যাচেও আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা। এসব অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের পরের প্রজন্মের আম্পায়ারদের সঙ্গে শেয়ার করলে তারা উপকৃত হবে বলে মনে করেন ইফতেখার। এ ছাড়া শরফুদ্দৌলাকে বাংলাদেশের সম্পদ বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি।
ইফতেখার বলেন, ‘হ্যাঁ, বলেছে। আমি এখনো চিঠি পাইনি। ব্যাপারটা হচ্ছে, আমার সাথে কথা বলার সময়ও বলেছে সে মনঃক্ষুণ্ণ। এতকিছু হচ্ছে, অবশ্যই তো আমরা ওকে চাই। সে মাঠে থাকলে অন্য আম্পায়ারদের প্রতি তার ইনফ্লুয়েন্স দারুণ, তারা শিখতে পারবে। আমরা চেষ্টা করছিলাম ট্রেনিংয়ে তার ফিডব্যাক...।’
‘এই যে পাকিস্তান যাচ্ছে, অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছে এসব অভিজ্ঞতা কিন্তু আপনি সহজে পাওয়ার না। এটা যদি আমাদের আম্পায়ারদের দ্বিতীয় প্রজন্ম, তৃতীয় প্রজন্মের শেয়ার করে তাহলে কিন্তু তাদের জন্য ভালো। সুতরাং সৈকত আমাদের বড় একটা সম্পদ। আমার বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে বলতে পারি—অবশ্যই, আমরা তাকে অনুরোধ করব এবং কথা বলবো। অনুরোধ করবে ভাই, এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসো।’