ভুলের কারণে আমাদের খেসারৎ দিতে হয়েছে: শান্ত

ছবি: সংবাদ সম্মেলনে শান্ত, আইসিসি

দুই ম্যাচেই বাংলাদেশের ব্যাটারদের পারফরম্যান্স ছিল হতশ্রী। প্রথম ম্যাচে মাত্র ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওপেনিং জুটি থেকে ৪৫ রান এলেও ২৩৬ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দলগত পারফরম্যান্স নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে বেশ কিছু ইতিবাচক দিকও খুঁজে পেয়েছেন তিনি।
‘যারা মনে করেন বাংলাদেশের অধিনায়কত্ব সহজ, আপনারা ভুল রাজ্যে আছেন’
২ ঘন্টা আগে
দুই ম্যাচেই বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছে। তবে ভুলগুলো না করলে ফলাফল অন্যরকম হতে পারত বলেও ধারণা শান্তর। তবে ব্যর্থতা ভুলে সামনে এগোতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক। সে জন্যই নতুনভাবে পরিকল্পনা করতে চান তিনি। সেই সঙ্গে পরিকল্পনার বাস্তবায়নও চান শান্ত। তিনি বলেন, ;'হ্যাঁ, আপনি যদি আমাদের দুটি ম্যাচ দেখে থাকেন, আমরা যদিও দুই ম্যাচেই হেরেছি। আমরা লড়াই করেছি লম্বা সময় পর্যন্ত। আমরা ভুল করেছি এবং এ কারণে আমাদের খেসারৎ দিতে হয়েছে। আমরা ভুল থেকে শিক্ষা নেয়ার চেষ্টা করছি। আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে এবং পরিকল্পনা করতে হবে, সেইসঙ্গে বাস্তবায়ন করতে হবে।'

প্রথম দুই ম্যাচে হারলেও পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে জয়ের আশায় ছিলেন শান্তরা। কারণ রাওয়ালপিন্ডির এই মাঠেই গত আগস্টে পাকিস্তানকে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজে হারিয়েছে। এমন ম্যাচই বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হওয়ায় হতাশ শান্ত। তিনি বলেছেন, 'অবশ্যই এটা খুবই হতাশার। এসব জিনিস আমাদের হাতে নেই। আজকে আমরা খেলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বৃষ্টির ব্যাপারটি আমাদের হাতে নেই।'
আমরা প্রস্তুত, বাকিটা বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে—পাকিস্তান সফর নিয়ে সালাহউদ্দিন
৪ ঘন্টা আগে
শান্ত অবশ্য পেসারদের পারফরম্যান্স নিয়ে আনন্দিত। তিনি বলেছেন, 'হ্যাঁ, পেসারদের পারফরম্যান্সে খুবই খুশি। আমরা সব সময়ই বোলিং নিয়ে লড়াই করেছি। কিন্তু দুই বছর আমরা বেশ কয়েকজন কোয়ালিটি সম্পন্ন পেসার পেয়েছি। যখনই প্রয়োজন তখনই তারা পারফরম্যান্স করে। বিশেষ করে নাহিদ রানা, তাসকিন ও মুস্তাফিজ রয়েছে এবং এখন আমাদের রিশাদের মতো মানসম্পন্ন স্পিনার রয়েছে। প্লেয়াররা ভালো করছে। আমি আশা করি প্লেয়াররা সামনেও ভালো করবে। দলের জন্য তারা সেরাটা করে দেখাবে।'
বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দুই ম্যাচ মিলিয়ে ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ১৫৯টি ডটবল খেলেছে বাংলাদেশ। আর দ্বিতীয় ম্যাচে ১৮১টি। ফলে বোঝাই যাচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা স্ট্রাইক রোটেশনে কতটা দুর্বল। শান্ত অবশ্য এগুলো নিয়ে কাজ করার আশ্বাস দিলেন। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছেন, 'নেটে আমাদের স্ট্রাইক রোটিং নিয়ে কাজ করতে হবে। নেটে আমাদের যথাযথ অনুশীলন করতে হবে। এবং এগুলো ম্যাচে প্রয়োগ করতে হবে। আশা করি ছেলেরা বুঝতে পারবে আসলে কী করতে হবে।'