ইমন ও মুস্তাফিজ থাকলে আরও লড়াই করতো বাংলাদেশ, দাবি রমিজের

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সিরিজ জিতে নিলে দলগুলো শেষ ম্যাচে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পথ বেছে নেয়। অনেকে আবার সেরা দল খেলিয়ে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করার স্বাদ নিতে চায়। এশিয়া কাপের আগে বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষায় বাংলাদেশ বেছে নিয়েছে পরিবর্তন। পাকিস্তানকে প্রথমবারের মতো হোয়াইটওয়াশ করার মিশনে একাদশে পাঁচ পরিবর্তনে ছিলেন না প্রথম দুই ম্যাচের বেশিরভাগ পারফর্মার।
কঠিন পিচে কীভাবে খেলতে হয়, পাকিস্তানকে শেখাল বাংলাদেশ: রমিজ
২৩ জুলাই ২৫
তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে বেঞ্চের শক্তি বাজি দেখতে পারভেজ ইমন, তাওহীদ হৃদয়, তানজিম হাসান সাকিব, মুস্তাফিজ এবং রিশাদ হোসেনকে বিশ্রাম দেয় বাংলাদেশ। তাদের পরিবর্তে ম্যাচ খেলেছেন নাসুম আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তাসকিন আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজ ও তানজিদ হাসান তামিম। ভবিষ্যতের ভাবনায় এমন পরিবর্তন করলেও সেটা কাজে আসেনি বাংলাদেশের।
প্রথম দুই ম্যাচে যথাক্রমে অপরাজিত ৫৬ ও ১৩ রান করেছিলেন ইমন। হাফ সেঞ্চুরিতে প্রথম ম্যাচের সেরাও ছিলেন বাঁহাতি এই ওপেনারই। বোলিংয়ে অন্যতম পারফর্মার ছিলেন মুস্তাফিজ। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৪ ওভারে স্রেফ ৬ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে এক ম্যাচে অন্তত ৪ ওভার বোলিং করেছেন এমন বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে কম ইকনোমি রেটে বোলিংয়ের কীর্তি গড়েছেন তিনি।

লিটন আমাকে ফোন দিয়ে বলেছে, ‘তুই আমার দলের মেইন প্লেয়ার’: সাইফউদ্দিন
১৫ ঘন্টা আগে
বাঁহাতি তারকা পেসার পরের ম্যাচে ১৫ রান খরচায় নেন এক উইকেট। শেষ ওভারে আহমেদ দানিয়ালকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের জয় ও সিরিজও নিশ্চিত করেন মুস্তাফিজ। এমন দুজন পারফর্মারকে বসিয়ে রাখায় প্রত্যাশিত লড়াই করতে পারেনি বলে মনে করেন রমিজ। সেই সঙ্গে একাদশে পরিবর্তনের সিস্টেমও বাতলে দিয়েছেন সদ্য সমাপ্ত সিরিজে ধারাভাষ্য প্যানেলে কাজ করা পাকিস্তানের সাবেক এই ক্রিকেটার।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এ প্রসঙ্গে রমিজ বলেন, ‘বাংলাদেশের যদি এতটা পরিবর্তন করতেই হতো...দেখুন—এটার একটা সিস্টেম আছে। সিস্টেমটা হচ্ছে প্রতি দলেই দুই-তিনজন থাকে তাদের বাদ দিতে হয় না। বাকিদের পরিবর্তে আপনি নতুন খেলোয়াড় খেলাতে পারেন।আমার মনে হয় যদি মুস্তাফিজুর এবং ইমন খেলতো তাহলে লড়াইটা আরও প্রতিযোগিতামূলক হতে পারত। যদিও পাকিস্তান অনেক রান করেছে, এর পরও এ দুজন থাকলে অধিনায়কের কাছে সুযোগ থাকত।’
প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে হারলেও শেষ ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। শাহিবজাদা ফারহান, হাসান নাওয়াজ ও মোহাম্মদ নাওয়াজের ব্যাটে আগে ব্যাটিং করে ১৭৮ রান তোলে সফরকারীরা। সালমান মির্জা, নাওয়াজ ও ফাহিম আশরাফদের বোলিংয়ে বাংলাদেশকে ১০৪ রানে গুটিয়ে ৭৪ রানের জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। এমন জয়কে অবশ্য সান্ত্বনার জয় বলতে নারাজ রমিজ।
সেই সঙ্গে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটারের কণ্ঠে সিরিজ জিতে না পারার আক্ষেপও ঝরেছে। রমিজ বলেন, ‘দেখুন— জয় তো জয়ই। অনেকেই হয়ত এটাকে সান্ত্বনার জয় বলবে। কিন্তু আন্তর্জাতিক ম্যাচ ছিল, সিরিজও হেরেছে— প্রথম কিংবা দ্বিতীয় ম্যাচে যদি এমন পারফরম্যান্স করতো তাহলে পাকিস্তান সিরিজও জিততে পারতো।’