ক্রিকেটাররা স্বস্তিতে ঘুমাতে পারবে না, এই ১৫-২০ জনই আমাদের সেরা: তাসকিন

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে সৌম সরকার, লিটন দাস, মুস্তাফিজুর রহমানদের পারফরম্যান্সে ওয়ানডে ক্রিকেটে পায়ের তলায় মাটি খুঁজে পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সবশেষ কয়েক বছরে একের পর এক সিনিয়র ক্রিকেটার অবসরে যাওয়ায় আবারও পুরনো রূপে ফিরতে শুরু করেছে দেশের ক্রিকেট। মাশরাফি অবসর না নিলেও ২০১৯ বিশ্বকাপের পর থেকেই জাতীয় দলে নেই। সাবেক অধিনায়কের মতো অবসর নেননি সাকিবও।
ড্রেসিং রুমে কফি খাচ্ছিলাম, হঠাৎই ৫ উইকেট পড়ে গেল: তাসকিন
১১ ঘন্টা আগে
বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার সাকিব নিজের শেষ ওয়ানডে খেলেছেন ২০২৩ সালের নভেম্বরে, ভারত বিশ্বকাপে। রাজনীতি ও নানান বাস্তবতায় জাতীয় দলের বাইরে রয়েছেন তিনি। নানান ঘটনাক্রমে অভিমানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়েছেন তামিম। সমালোচনার জেরে চলতি বছরের শুরুতে হওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলে ৫০ ওভারের ক্রিকেট থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ।
২০ বছর পর ৩৩১ ওয়ানডে পর তাদের পাঁচজনের কাউকে ছাড়া প্রথমবার ওয়ানডে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। চারিথ আসালাঙ্কার সেঞ্চুরির পরও তাসকিন ও তানজিম হাসান সাকিবের বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কাকে ২৪৪ রানেই আটকে দেয় সফরকারীরা। লক্ষ্য তাড়ায় তানজিদের হাফ সেঞ্চুরিতে ১ উইকেটে ১০০ রান তোলে ফিল সিমন্সের শিষ্যরা। অথচ এখান থেকেও শেষ পর্যন্ত ম্যাচ হেরেছেন মেহেদী হাসান মিরাজরা। শান্তর রান আউটের পর বাকিরা এলেন আর গেলেন।

ব্যাখ্যাতীত ব্যাটিংয়ে মাত্র ৫ রানে ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তাসকিন নিজেও জানালেন, তানজিদ ও জাকেরের ব্যাটিং দেখে মনে হয়নি উইকেট খুব বেশি কঠিন। তাতেই প্রশ্ন উঠছে মিডল অর্ডারের ব্যাটারদের সামর্থ্য নিয়ে। সতীর্থদের আগলে রাখার চেষ্টা করলেও সত্য কথাটা হয়ত মুখ ফসকে বলেই দিলেন তাসকিন। ডানহাতি পেসার জানান, বাংলাদেশের ক্রিকেটের পাইপলাইন বিবেচনা করলে জাতীয় দল ও আশেপাশে থাকা সবমিলিয়ে ১৫ থেকে ২০ জন ক্রিকেটার আছে। সেই সঙ্গে দ্রুতই এমন কঠিন সময় থেকে বেরিয়ে আসার প্রত্যয় করলেন তিনি।
অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধসে বাংলাদেশের হার
১৩ ঘন্টা আগে
এ প্রসঙ্গে তাসকিন বলেন, ‘না, সামর্থ্যের কথা যেটা বলছেন...এটাও বুঝতে হবে আমাদের ভেতরে যে পাইপলাইন আছে সবমিলিয়ে আমার মনে হয় এই ১৫-২০জন আমাদের সেরা। হ্যাঁ, আমরা এটা নিয়েই এগোচ্ছি। হয়তো আমাদের বোলিং-ব্যাটিং সব মিলিয়ে কিছুটা গেম অ্যাওয়ারনেস বা মানসিকতার দিক থেকে আমরা কিছুটা পিছিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যান্য দলের থেকে—বিশেষ করে ভালো দলের থেকে। এই জায়গাগুলোতে আমরা উন্নতি করার যথেষ্ট চেষ্টা করছি—পরিবেশ, সংস্কৃতি সবমিলিয়ে।’
‘হয়তো বেশ কিছুদিন ধরে আমরা বলে আসছি যে ট্রানজিশন পিরিয়ড চলছে। কিন্তু একটু সময়ও নিচ্ছে। আশা করছি দ্রুত...এখান থেকে বের হয়ে আসতেই হবে। অন্যথায় আর কোন উপায় নেই। এটা থেকে বের হয়ে আসবো আমরা। এটার জন্য অনেক কাজ করছি, সবাই অনেক কষ্ট করতেছে। তো আশা করছি আপনারাও পাশে থাকবেন, দোয়াও রাখবেন আমরা যেন দ্রুত এই সময়টা কাটিয়ে আসতে পারি ইনশাআল্লাহ।’
এক উইকেটে ১০০ রান করা বাংলাদেশ শেষ ৯ উইকেট হারিয়েছে ৬৭ রানে। যেখানে একাই ৫১ রান এসেছে জাকেরের ব্যাট থেকে। ফলে ৭৭ রানে হারতে হয়েছে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে। তাসকিন জানান, এমন হারে ক্রিকেটাররাও স্বস্তিতে ঘুমাতে পারবেন না। চলমান অবস্থা কাটিয়ে সামনে ভালো জয়ের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তাসকিন। পাশাপাশি সমর্থকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন তারকা এই পেসার।
তাসকিন বলেন, ‘আমি নিশ্চিত সমর্থক যারা আছেন তারা সবসময় চায় আমরা ভালোকরি। আমরাও চাই ভালো করতে। আমি নিশ্চিত প্রত্যেকটা খেলোয়াড় যখন এরকম ফলাফলের পর রুমে যাবে কেউই স্বস্তিতে ঘুমাতে পারবে না, খারাপ লাগবে। আমরা চেষ্টা করছি আর সমর্থকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি যে দুর্ভাগ্যজনকভাবে সহজ ম্যাচটা হেরে গেছি। আশা করছি দ্রুতই সব সমস্যা কাটিয়ে উঠব এবং সামনে ভালো জয় উপহার দিব। কারণ স্বপ্ন দেখা ছাড়া তো এগোতে পারব না। প্রতিদিন আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি, বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।’