promotional_ad

সুনির্দিষ্ট ৩ অভিযোগ নিয়ে বিসিবিতে দুদকের অভিযান

সুনির্দিষ্ট তিন অভিযোগ নিয়ে বিসিবিতে দুদকের তিন কর্মকর্তা, ক্রিকফ্রেঞ্জি
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকাল থেকে তেমন ব্যস্ততা ছিল না মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। একাডেমি মাঠে তখন অনুশীলনে ব্যস্ত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) সুপার লিগের দলগুলো। কিন্তু এর মাঝেই হঠাৎ সাড়া পড়ে গেল চারিদিকে। বিসিবি কার্যালয়ের সামনে গাড়ি থেকে নামলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তিন সদস্য। পরে জানা গেল, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়ে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনায় এসেছেন তারা।

promotional_ad

বিসিবির বিভিন্ন বিভাগে প্রায় দেড় ঘণ্টার মতো চলে তাদের এই অভিযান। এরপর পর সংবাদ সম্মেলনে তিনটি অভিযোগ নিয়ে কাজ করার কথা বলেন দুদকের সহকারী পরিচালক আল আমিন। এসময় বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরি বোর্ডের পক্ষ থেকে সবধরনের সহযোগিতার কথা বলেন। দুদকের প্রধান কার্যালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, বিসিবির বিভিন্ন ক্রিকেট লিগের বাছাই প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ অর্থ অর্জনসহ নানাবিদ দুর্নীতি ও অভিযোগের প্রেক্ষিতে এনফোর্সমেন্ট অভিযানের নিমিত্তে টিম প্রেরণ।


আরো পড়ুন

ডিপিএল সুপার লিগের প্রথম তিন রাউন্ডের সূচি প্রকাশ

১৫ ঘন্টা আগে
ক্রিকফ্রেঞ্জি

এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে দুদকের সেই কর্মকর্তা জানান, বাকি দুটি অভিযোগ বিপিএলে টিকেট বিক্রির আয়ে অসঙ্গতি ও মুজিব শতবর্ষে অর্থ আত্মসাত সম্পর্কিত। প্রায় দশ বছর পর আবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে তৃতীয় বিভাগ বাছাই লিগ। ২০১৪-১৫ মৌসুমে এই লিগে খেলার ফি ৭৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে করা হয় ৫ লাখ টাকা। আর তাতেই ক্রমেই কমতে থাকে দলের সংখ্যা। গত কয়েক বছরে ৫টির বেশি দল ছিল না এই লিগে। তবে এবার আবেদন ফি কমিয়ে করা হয়েছে ১ লাখ টাকা। এর সঙ্গে শিথিল করা হয়েছে কিছু শর্ত। যার ফলে এবারের বাছাই লিগে অংশ নিয়েছে ৬০টি দল।


বাছাই লিগের আবেদন ফি বাড়ানো, দলের অংশগ্রহণ কমার পেছনে বোর্ডের বা ব্যক্তিগত কোনো প্রভাব ছিল কিনা সেটি খতিয়ে দেখা হবে বললেন আল আমিন। তিনি বলেন, ‘তৃতীয় বিভাগ বাছাই লিগে এবার ৬০টি দল অংশ নিয়েছে। আগে ২-৩ বা সর্বোচ্চ ৪ দলের লিগ হতো। এখানে হয়তো কোনো কারণ আছে। আমরা কাগজপত্র সংগ্রহ করেছি, এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত বা বোর্ডের কোনো প্রভাব ছিল কিনা দেখার জন্য। এমনিতেই বোঝা যাচ্ছে, আগে হয়তো অংশগ্রহণের স্বাধীনতা ছিল না কোনো চাপ ছিল যে কারণে দলগুলো আসত। আমরা বিস্তারিত যাচাইবাছাই করে বুঝতে পারব এখানে কী অসঙ্গতি ছিল।’


বিপিএলের সবশেষ আসর শেষে বিসিবি সভাপতি ও টুর্নামেন্টের গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বলেছিলেন, টিকেট বিক্রি করে তারা সব মিলিয়ে ১৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা আয় করেছেন। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, বিপিএলের প্রথম ১০ আসরে টিকেট থেকে ১৫ কোটি টাকা পেয়েছিল বিসিবি। টিকেট বিক্রির আয়ে এই অস্বাভাবিকতা নিয়ে কাজ করার কথাও বললেন দুদকের সহকারী পরিচালক আল-আমিন।


promotional_ad

তাঁর ভাষ্যমতে, ‘আগে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে অর্থ নিয়ে টিকেটের ব্যাপারে চুক্তি করা হতো। তারা টিকেট বিক্রি করে বিসিবিকে একটা অংশ দিত। গত ৩-৪ আসরে বিসিবি নিজ থেকে টিকেট বিক্রি করছে। যার প্রেক্ষিতে একাদশ আসরে আমরা দেখেছি, ১৩ কোটি টাকা আয় হয়েছে। আট বছরে যেখানে ১৫ কোটি, এক বছরেই ১৩ কোটি। রেকর্ডপত্র আমরা পেয়েছি। বিস্তারিত যাচাই করলেই বোঝা যাবে কী অসঙ্গতি এখানে।’


আরো পড়ুন

‘অধিনায়কত্ব বিসিবির বিষয়, লিটনকে আগে ফর্মে ফিরতে হবে’

৫ এপ্রিল ২৫
ব্যাটিংয়ে যেন ছন্দই খুঁজে পাচ্ছেন না লিটন দাস, ফাইল ছবি

এছাড়া ২০২০-২১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দেশব্যাপী আয়োজনে শামিল হয়েছিল বিসিবিও। জাকজমকপূর্ণ কনসার্টসহ বর্ণিল আয়োজন করা হয়েছিল তখন। মুজিব শতবর্ষের ওই আয়োজনে ব্যয়ের হিসেব গড়মিলের কথা বলেন দুদকের সেই কর্মকর্তা।


আল আমিন বলেন, ‘মুজিব শতবর্ষের ব্যয়ের হিসেবে কিছু অস্বাভাবিকতা আছে। এসব অভিযোগের বিষয়ে রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলো যাচাইবাছাই করে আমরা আমাদের এনফোর্সমেন্ট ইউনিটে প্রতিবেদন দাখিল করব। সেই অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপের ব্যাপারে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।’


পরে মুজিব শতবর্ষের আয়োজনে আর্থিক অসঙ্গতির বিস্তারিত তুলে ধরেন আল-আমিনের সঙ্গে থাকা আরেক সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান। তিনি বলেন, ‘কনসার্টসহ যে আয়োজন হয়েছিল, সেখানে সব মিলিয়ে ২৫ কোটি টাকা খরচ দেখানো হয়েছে। আমরা এই অভিযোগ পেয়েছি। তবে আসলে খরচ হয়েছে ৭ কোটি টাকার মতো। এখানে প্রায় ১৯ কোটি টাকা সরানো হয়েছে বা কিছু হয়েছে। এরকম অভিযোগ আমরা পেয়েছি।’


‘বিসিবির অর্থ বিভাগের কাছ থেকে কাগজপত্র চেয়েছি। কিছু কাগজ পর্যালোচনায় আমরা বুঝতে পেরেছি, এখানে প্রায় ১৯ কোটি টাকার হিসেবে অস্বাভাবিকতা আছে। এছাড়া টিকেট বিক্রির ২ কোটি টাকাও এখানে দেখানো হয়নি। তাই এখানে টাকা আত্মসাতের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। আমরা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি। সব কাগজপত্র হাতে পেলে সুনির্দিষ্ট করে আমরা বলতে পারব।’


দুদকের অভিযানের পুরোটা সময় সঙ্গে ছিলেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরি। বিসিবির দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে পুরো অভিযানে তাদেরকে সহায়তা করার কথা জানিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া বিসিবির বিভিন্ন বিভাগকে প্রয়োজনীয় সকল কাগজ-পত্র কিংবা নথি দিয়ে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছেন বিসিবির সিইও। যদিও এখনই কোনো প্রকার অসঙ্গতি নিয়ে কথা বলতে চান না তিনি।


নিজামউদ্দিন বলেন, ‘যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, এসবের ব্যাপারে আমাদের কাছে যত কাগজপত্র আছে, সব বিভাগকে সেগুলো দুদকের কাছে দিয়ে সহযোগিতার জন্য বলে দেওয়া হয়েছে। আমাদের দিক থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে। এখন যেহেতু অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে, তাই এর বেশি কিছু বলা উচিত হবে না’



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball