ভারত - বাংলাদেশ সিরিজ

কন্ডিশন ও বল নিয়ে মাথা ঘামাতে চান না শান্ত

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 19:49 বুধবার, 18 সেপ্টেম্বর, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

বাংলাদেশকে হারাতে রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজা নাকি জসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজদের ওপর ভরসা করবে ভারত, চারপাশে এমন প্রশ্ন ঘুরে বেড়ালেও উত্তর এখনও অজানা। ভারত সফরে খানিকটা ‘চেনা’ কন্ডিশনের সঙ্গে এসজি বলেও বাড়তি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে বাংলাদেশকে। তবে সিরিজ শুরুর আগে নাজমুল হোসেন শান্ত জানালেন কন্ডিশন কিংবা বল নিয়ে খুব বেশি ভাবতে চান না তারা।

উপমহাদেশের কন্ডিশনে খেলা হওয়ায় উইকেট নিয়ে হয়ত খুব বেশি চিন্তা করার কথা নয় বাংলাদেশের। তবে সবশেষ পাকিস্তান সফরে অভাবনীয় এমন সাফল্যময় সিরিজ জেতায় এখন অনেক কিছুই ভাবতে হচ্ছে টাইগারদের। বাংলাদেশের পাশাপাশি কন্ডিশন নিয়ে একের পর এক বৈঠক করতে হচ্ছে ভারতকেও। কারণ একটুর জন্য পা ফসকালে মুখ দেখাতে পারবেন না রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা।

সবশেষ কয়েকদিনে বেশিরভাগেরই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল চেন্নাইয়ের উইকেট। তামিলনাড়ুর চিদাম্বরম স্টেডিয়ামের উইকেট প্রথাগতভাবেই খানিকটা স্পিন নির্ভর। তবে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষ হওয়ায় ভারত স্পিনারদের উপর খুব বেশি ভরসা করবে না বলে দাবি করেছেন দীনেশ কার্তিক, হার্শা ভোগলেরা। তাদের সবার দাবি, ঘরের মাঠে বাংলাদেশ স্পিন নির্ভর উইকেটে খেলায় তাতে দুই দলের মাঝে ব্যবধান কমে আসবে অনেকটা।

বাংলাদেশের অধিনায়ক অবশ্য কন্ডিশন কিংবা প্রতিপক্ষ নিয়ে ভাবতে চান না একদমই। বরং শান্ত চাওয়া নিজেদের পরিকল্পনা পুরোদস্তুর কাজে লাগানো। এ প্রসঙ্গে শান্ত বলেন, ‘আমরা কন্ডিশন এবং প্রতিপক্ষ নিয়ে ভাবছি না। আমরা শুধু নিজেদের নিয়েই ভাবছি। নিজেদের পরিকল্পনা কাজে লাগাতে পারলে ম্যাচটা ভালো হবে।’

চেন্নাইয়ের উইকেট নিয়ে খুব বেশি কথা বলতেই রাজি নন শান্ত। তবুও বাংলাদেশের অধিনায়ক বললেন, ‘উইকেট যতটুকু দেখে বুঝেছি, ভালো একটি উইকেটই হবে। খুব বেশি স্পিন বা পেস বোলিং, এটা নিয়ে কথা বলতে চাই না।’

কন্ডিশনের সঙ্গে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ জানাবে এসজি বল। বছরের বেশিরভাগ সময়ই কোকাবুরা বলে খেলে থাকেন লিটন দাস, শান্তরা। তবে ভারতে বাংলাদেশের ব্যাটারদের খেলতে হবে এসজিতে। কোকাবুরার সঙ্গে এসজির বড় পার্থক্য সিমের সেলাই ও ব্যবহৃত চামড়ায়। কোকাবুরায় মেশিনের পাশাপাশি হাতেও সেলাই করা হয়। এসজির ক্ষেত্রে পুরো সেলাই হয় হাতে। যার কারণে স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকে এবং ৪০-৫০ ওভার পর গিয়ে পেসাররা রিভার্স সুইং পেয়ে থাকেন। তবে এসব নিয়ে মাথা ঘামাতে চান না শান্ত।

বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা এসজি বলে অনুশীলন করেছি। এখানে আসার পরে আমাদের কয়েকটি এসজি বলে সেশন হয়েছে। প্রত্যেক ব্যাটারই খুব ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছে। চ্যালেঞ্জ থাকবেই। সবাই অনেকদিন ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে। এটা নেয়ার জন্য সবাই প্রস্তুত। বল নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামানোর কারণ নেই আমার মনে হয়।’