আফগানিস্তান ক্রিকেট

অ্যাশেজের সকালে মেলবোর্নে টি-টোয়েন্টি খেলবেন আফগান মেয়েরা

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
Publish Date: 13:15 Friday, November 15, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

তালেবানদের কথা উপেক্ষা করে জাতীয় পর্যায়ে নারী ক্রিকেটারের প্রসার ঘটিয়েছিল আফগানিস্তান। তবে প্রায় এক দশক পর আবারও কট্টরপন্থী তালেবান শাসন ফেরায় হুমকি দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয় দেশের নারী ক্রিকেট। এমন অবস্থায় অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে শরণার্থী দল হিসেবে একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত আফগানিস্তানের মেয়েরা। অ্যাশেজের আগে এমন আয়োজনে তাদের সহায়তা করছে অস্ট্রেলিয়া সরকার।

২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান সরকার আসার পর আফগানিস্তানের নারী ক্রিকেটারদের প্রায় সবাই দেশ ত্যাগ করেন। তাদের বেশিরভাগই বর্তমানে বসবাস করছেন অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা ও মেলবোর্নে। পুরোপুরি দল বানাতে না পারলেও তাদের অনেকে স্থানীয় ক্লাবে ক্রিকেট খেলছেন নিয়মিতই। এবার তাদের জন্য সুযোগ তৈরি হয়েছে মেলবোর্নে খেলার।

আফগানিস্তান ছেড়ে আসা শরণার্থীদের নিয়ে বানানো আফগানিস্তান ওমেন্স একাদশের সঙ্গে খেলবে ক্রিকেট উইথআউট বর্ডার্স একাদশ। আগামী ৩০ জানুয়ারি মেলবোর্নের জংশন ওভালে হবে টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি। একই দিনে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শুরু হবে মেয়েদের দিবা-রাত্রির অ্যাশেজ। এমন ম্যাচ আয়োজনের সুযোগ পেয়ে খুশি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী নিক হকলি।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ায় চলে আসার পর থেকে আফগানিস্তান নারী দলের সদস্যদের সমর্থন দেয়ার জন্য ক্রিকেট এবং অন্য সম্প্রদায়ের অনেক লোক একসাথে হয়েছে এবং ম্যাচটি সেই কাজেরই উদযাপন হিসেবে। আমি আনন্দিত যে প্রদর্শনী ম্যাচে তাদের একসাথে খেলার ইচ্ছে পূরণ হবে। যা কিনা দিবা-রাত্রির অ্যাশেজের অন্যান্য ইভেন্টের সঙ্গে দারুণ এক সংযোজন হবে।’

চলতি বছরের শুরুতে আইসিসির কাছে চিঠি লিখেছিলেন আফগানিস্তানের চুক্তিবদ্ধ ১৭ নারী ক্রিকেটার। তালেবানরা দেশে ক্রিকেট বন্ধ করে দেয়ায় অস্ট্রেলিয়া-ভিত্তিক শরণার্থী দল হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার সুযোগ করে দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন তারা। নিজেদের প্রতিভার প্রমাণ রেখে আফগানিস্তানের বসবাস করা নারীদের আশার আলো দেখানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। সেই সঙ্গে দেশে নারীদের সঙ্গে কী ধরনের অমানবিক আচরণ হচ্ছে সেটাও পুরো দুনিয়ার সামনে তুলে ধরতে চান দেশটির ক্রিকেটাররা।

আইসিসিকে লেখা চিঠির একটি অংশ তারা বলেছিলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য শরণার্থী দলটির মধ্য দিয়ে সারা পৃথিবীর সামনে আমরা আমাদের প্রতিভার প্রমাণ রাখব। এর মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানে বসবাস করা নারীদের আশার আলো দেখাব। আফগানিস্তানে নারীদের প্রতি কী অমানবিক আচরণ হচ্ছে, সেটি দুনিয়ার সামনে তুলে ধরব। আমরা আফগানিস্তান পুরুষ দলের মতোই সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলার যোগ্যতা রাখি।’