ইংল্যান্ড- শ্রীলঙ্কা সিরিজ

বোলারদের অনবদ্য পারফরম্যান্সে জয়ের পথে শ্রীলঙ্কা

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
Publish Date: 08:57 Monday, September 9, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

টেস্টে শ্রীলঙ্কা ইংল্যান্ডকে সর্বশেষ হারিয়েছে ২০১৪ সালে। এরপর দুই দল দশটি ম্যাচ খেললেও জয় পায়নি লঙ্কানরা। অবশেষে সেই দুঃসময় কাটাতে যাচ্ছে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার দল। লন্ডন টেস্টে দিনের শুরুটা খারাপ করলেও বোলারদের পারফরম্যান্সে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দলটি। ২৬২ রানে নিজেরা প্রথম ইনিংসে অলআউট হওয়ার পর ইংলিশদের দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৫৬ রানে বেধে রাখে দলটি। পরে ২১৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বৃষ্টি-বিঘ্নিত দিনে এক উইকেটে ৯৪ রান করেছে তারা। ম্যাচটি জিততে শেষ দুইদিনে ১২৫ রান করতে হবে তাদের।

রান তাড়াটা ঝড়ো গতিতেই শুরু করে শ্রীলঙ্কা। পাথুম নিশাঙ্কা ও দিমুথ করুনারত্নের উদ্বোধনী জুটিতে ৩৯ বলে ৩৯ রান তুলে ফেলেন। এই জুটি ভাঙেন ক্রিস ওকস। তাকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ২১ বলে ৮ রান করা দিমুথ করুনারত্নে

এরপর কুশল মেন্ডিসকে নিয়ে ৪৮ বলে নিশাঙ্কা যোগ করেছেন ৫৫ রান। প্রথম ইনিংসেও হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া নিশাঙ্কা এবার ৪৪ বলে অপরাজিত আছেন ৫৩ রানে। সঙ্গী কুশল মেন্ডিস ৩০ রান করেছেন ২৫ বলে।

দিনের শেষের মতো শুরুতেও ব্যাটিংয়ে ছিল এই শ্রীলঙ্কা। পাঁচ উইকেটে ২১১ রান নিয়ে দিন শুরু করে দলটি। যদিও দিনের শুরু থেকে সুবিধা করতে পারেনি দলটি। ১৬.২ ওভার ব্যাটিং করে ২৬৩ রানে অলআউট হয় দলটি।

আগের দিন ৯৩ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর অবিছিন্ন জুটিতে সেই দিন শেষ করেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস। আজ তাদের জুটি পৌঁছে ১২৭ রানে। দিনের দ্বিতীয় ওভারে ধনঞ্জয়াকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন অভিষিক্ত ইংলিশ পেসার জশ হাল।

১১১ বলে ৬৯ রান করা ধনঞ্জয়া ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ারে ক্যাচ দিয় ফিরে যান। একটু পর ফিরে যান কামিন্দু মেন্ডিসও। ৯১ বলে ৬৪ রান করা কামিন্দুকে ফেরান ওকস। এরপরই ভেঙে পড়ে দলটির ইনিংস। ইংল্যান্ডের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন হাল ও অলি স্টোন। দুটি উইকেট নেন ওকস।

প্রথম ইনিংসে ৩২৫ রান করা ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে শুরু থেকেই ব্যাকফুটে চলে যায়। সহায়ক কন্ডিশনে দারুণ বোলিং করেন শ্রীলঙ্কার চার পেসার। এ দিন শুরুতেই বাজে শট খেলে মিড অনে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন বেন ডাকেট। প্রথম ইনিংসে দেড়শ করা অধিনায়ক অলিভার পোপ এবার থামেন ডাকেটের মতোই ৭ রান করে।

লাহিরু কুমারার দারুণ ডেলিভারিটি স্টাম্পে টেনে আনেন পোপ। কিছুদিন ধরে অফফর্মে থাকা ড্যান লরেন্স দারুণ কয়েকটি বাউন্ডারি মারলেও ৩৫ রানের বেশি করতে পারেননি। লাহিরু কুমারার বলেই উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে ধরা পড়েন তিনি।

বেশীক্ষণ টিকতে পারেননি জো রুটও। পরপর দুই ওভারে রুট (১২) ও হ্যারি ব্রুককে (৩) এলবিডব্লিউ করে দেন বিশ্ব ফার্নান্দো। ক্রিস ওকস ও গাস অ্যাটকিনসনও টিকতে পারেননি। যথাক্রমে শূন্য ও এক রানে বিদায় নেন তারা।

একটা পর্যায়ে তিন উইকেটে ৬৬ রানে থাকা ইংল্যান্ডের রান হয়ে যায় ৭ উইকেটে ৮২! ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে খেলতে শুরু করেন জেমি স্মিথ। অষ্টম উইকেটে স্টোনের সঙ্গে গড়েন ৫৮ রানের জুটি। এই জুটিতে স্মিথ একাই করেন ১৯ বলে ৫২।

আগ্রাসী স্মিথকে থামিয়ে জুটি ভাঙেন বিশ্ব। ফেরার আগে তিনি করেন ১০টি চার ও একটি ছক্কায় ৫০ বলে ৬৭ রান। ইনিংস গড়া ১০ চার ও এক ছক্কায়। তারপর দ্রুত বাকি দুই উইকেট নিয়ে ইংলিশদের ১৫৬ রানে গুটিয়ে দেয় লঙ্কানরা। শ্রীলঙ্কার চার পেসার মিলেই নিয়েছেন ১০ উইকেট। ২১ রানে চার উইকেট নিয়ে সেরা লাহিরু। ৪০ রানে তিন উইকেট নেন বিশ্ব।