|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আসন্ন জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি ভার্সনে খেলতে দেখা যাবে তামিম ইকবালকে। এই টুর্নামেন্টে খেলার আগে অবশ্য ফিটনেস টেস্ট দিতে হবে বাঁহাতি এই ওপেনারকে। এনসিএলের টি-টোয়েন্টি লিগ শুরুর আগে সেকথাই মনে করিয়ে দিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচক হান্নান সরকার।
দীর্ঘদিন ধরে মাঠের বাইরে রয়েছেন তামিম। চলমান জাতীয় লিগেও (টেস্ট ভার্সন) দেখা যায়নি দেশের অন্যতম সেরা এই ওপেনারকে। কদিন আগেই অনুশীলন শুরু করেছেন তিনি। সবাই ধারণা করছিলেন আসন্ন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগকে (বিপিএল) সামনে রেখে নিজেকে ঝালিয়ে নিচ্ছিলেন তিনি।
বিপিএলের আগামী আসরেও তিনি মাঠে নামবে ফরচুন বরিশালের হয়ে। তবে বরিশালের জার্সি গায়ে দেয়ার আগেই তামিমের খেলা দেখতে পারবেন তার ভক্ত-সমর্থকরা। যদিও জাতীয় লিগের টি-টোয়েন্টি ভার্সনে চট্টগ্রাম বিভাগের হয়ে খেলার আগে অন্যান্য ক্রিকেটারদের মতোই ফিটনেস পরীক্ষা দেবেন তিনি।
হানান সরকার বলেন, 'তামিম খেললে স্বাভাবিকভাবেই চট্টগ্রাম বিভাগের হয়ে খেলবে। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে সে খেলবে। কয়টা ম্যাচ খেলবে, কখন খেলবে- এই বিষয়গুলোর জন্য আমাদের হাতে আরও সময় আছে। এর আগে আমরা আলোচনা করব। তবে হ্যাঁ, এনসিএল টি-টোয়েন্টি খেলার ব্যাপারে সে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।'
'ফিটনেস টেস্ট সবাইকে দিতে হবে। এটা আমাদের খুবই মৌলিক মানদণ্ড। ফিটনেস টেস্টে সে অবতীর্ণ হবে। একটা লক্ষ্যমাত্রা থাকবে। সেটা স্পর্শ করতে হবে। কিছু কিছু সিনিয়র ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে আমরা ফিটনেস টেস্টের মানদণ্ড স্পর্শ না করলেও তাদের সুযোগ দিয়েছি। তারা সিনিয়র ক্রিকেটার দেখে এমনটা হয়েছে। জাতীয় লিগ এখনও খেলছে। তামিমকেও এই মানদণ্ডের ভেতর দিয়ে আসতে হবে।'
সূচি চূড়ান্ত না হলেও জানা গেছে জাতীয় লিগের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট শুরু হবে ১১ ডিসেম্বর। আর ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ২৩ ডিসেম্বর। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে হবে লিগ পর্বের ম্যাচগুলো। আর সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম বা চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।
বরাবরের মতো তামিমকে দেখা যাবে চট্টগ্রামের জার্সি গায়ে। বাঁহাতি এই ওপেনার পেশাদার ক্রিকেটে সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছেন গত মে মাসে, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। এরপর ছয় মাসের লম্বা বিরতিতে পর আবারও মাঠে ফেরার প্রস্তুতি শুরু করেছেন তামিম।
মাঠে না থাকলেও তামিম আছেন ক্রিকেটের আশেপাশেই। বাংলাদেশ দলের সর্বশেষ ভারত সফরে ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় ছিলেন বাঁহাতি এই বাংলাদেশি ব্যাটার। দারুণ গঠনমূলক ধারাভাষ্য দিয়ে প্রশংসাও কুড়িয়েছেন তিনি।