জাতীয় ক্রিকেট লিগ

হারতে হারতে আলোকস্বল্পতায় ঢাকার ড্র

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 21:36 মঙ্গলবার, 12 নভেম্বর, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

এনামুল হকের ৬ উইকেটের পরও ঢাকা মেট্রোকে পথ দেখিয়েছেন ৪৪ রান করা গাজী তাহজিবুল ইসলাম ও ৪৭ রানের ইনিংস খেলা আবু হায়দার রনি। তৃতীয় দিনে আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ৮২ রানের ইনিংস খেলার পর তাদের দুজনের ব্যাটে আড়াইশ পেরিয়ে যায় মেট্রো। শেষদিনে জিততে হলে ৫৭ ওভারে ২৫৭ রান করতে হতো ঢাকা বিভাগকে। এমন লক্ষ্য তাড়ায় নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৪৩ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪৮ রান তোলেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনরা। দিনের বাকি ১৪ ওভারে মাত্র দুটি উইকেট নিতে পারলেই ম্যাচ জিতে যেতো মেট্রো। তবে হারের অপেক্ষায় থাকা ঢাকাকে বাঁচিয়ে দিয়েছে শেষ বিকেলের আলোকস্বল্পতা। পর্যাপ্ত আলো না থাকায় ড্রয়ে শেষ হয়েছে ঢাকা ও মেট্রোর চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচ।

সিলেট একাডেমি গ্রাউন্ডে জয়ের জন্য ২৫৭ রান তাড়ায় ঢাকাকে বেশ ভালো শুরু এনে দেন আশিকুর রহমান শিবলি ও রনি তালুকদার। দিনের দুই সেশন বাকি থাকায় একেবারে শুরু থেকেই ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং করতে থাকেন ঢাকার দুই ওপেনার। রাকিবুল হাসানের বলে লং অনের উপর দিয়ে ছক্কা মেরে আশিকুরের সঙ্গে জুটির পঞ্চাশ পূর্ণ করেন রনি। যদিও পরের বলেই সাজঘরে ফিরতে হয়েছে ডানহাতি ওপেনারকে।

রাকিবুলের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন ২৩ রান করা রনি। আরেক ওপেনার আশিকুর ফিরেছেন পরের ওভারেই। অথচ আবু হায়দারের বিপক্ষে চার মেরে ওভারের শুরুটা দারুণভাবে করেছিলেণ তিনি। তবে তৃতীয় বলে উইকেটের পেছনে থাকা তাহজিবুলকে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয়েছে ৩৪ রানের ইনিংস খেলা আশিকুরকে। দ্রুতই ২ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ে তোলেন জয়রাজ শেখ ও তাইবুর রহমান।

তাদের দুজনের জুটির পঞ্চাশ হওয়ার আগেই অবশ্য জয়রাজকে ফিরিয়েছেন রাকিবুল। বাঁহাতি স্পিনারের বলে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন ২৫ বলে ১৪ রান করা জয়রাজ। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ হয়েছেন মাহিদুল অঙ্কন। আরিফ আহমেদের বলে মার্শাল আইয়ুবের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরা তরুণ উইকেটকিপার ব্যাটার রানের খাতাই খুলতে পারেননি। দলের রান একশ পার হওয়ার পর আউট হয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও।

বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুলের বলে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার। প্রথম ইনিংসে ২০ রান করা মোসাদ্দেক এবার আউট হয়েছেন ৭ রানে। মাত্র ১০ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে ঢাকা। থিতু হওয়া তাইবুরের বিদায়ে আরও খানিকটা বিপদে পড়ে তারা। ৭১ বলে ৩০ রান করা এই ব্যাটারকে নিজের শিকার বানিয়েছেন আবু হায়দার। বাঁহাতি পেসারের বলে বোল্ড হয়েছেন তাইবুর।

প্রথম ইনিংসে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ঢাকাকে লড়াইয়ে ফেরানো শুভাগত হোমও আউট হয়েছেন থিতু হয়ে। শেষ বিকেলে আবু হায়দারের বলে উইকেটকিপার ইমরানুজ্জামানকে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। ৫৭ বল খেলা ডানহাতি অভিজ্ঞ ব্যাটার ফিরেছেন ১৯ রানে। এনামুল আউট হওয়ার পর নাজমুল ইসলাম অপু এসে মাত্র একটি বল খেলেছেন। এরপর আলোকস্বল্পতার কারণে খেলা চালিয়ে নেয়া সম্ভব না হওয়ায় ড্র মেনে নেন দুই দলের অধিনায়ক। মেট্রোর হয়ে রাকিবুল চারটি ও আবু হায়দার নিয়েছেন তিনটি উইকেট।

সকালের শুরুতে ৬ উইকেটে ১৮৬ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন মেট্রোর তাহজিবুল ও আবু হায়দার। তাদের দুজনের ৫০ রানের জুটি ভেঙেছে তাহজিবুলের বিদায়ে। এনামুলের বলে ফেরার আগে ৪৪ রান করেছেন তরুণ এই উইকেটকিপার ব্যাটার। হাফ সেঞ্চুরির আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে ৪৭ রান করা আবু হায়দারকেও। শেষ পর্যন্ত ২৬৭ রানে অল আউট হয় মেট্রো। ঢাকার হয়ে ৮১ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন পেসার এনামুল। আরেক পেসার রিপন মণ্ডল নিয়েছেন দুটি উইকেট।