|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ২৬৩ রান তাড়ায় আগের দিনই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে রাজশাহী বিভাগ। রংপুর বিভাগের জয় পাওয়াটা শুধুই ছিল সময়ের ব্যাপার। ব্যতিক্রম কিছু হলো না। জাতীয় ক্রিকেট লিগের চতুর্থ রাউন্ডের শেষ দিনে ১০১ রানের বড় জয় পেল রংপুর। মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়ার হাফ সেঞ্চুরি কেবল পরাজয়ের ব্যবধানটাই কিছুটা কমাতে পেরেছে।
ছয় উইকেটে ৬২ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করে রাজশাহী। এসএম মেহরব হাসান ৯ এবং কিবরিয়া ছিলেন ৮ রানে। এ দিন শুরুতেই মেহরবের উইকেট হারায় দলটি। ২৭ বলে নয় রান করা এই ব্যাটারকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন রবিউল হক।
ইনিংসের ৩১ ওভারের মধ্যে দলীয় রানকে একশ পার করেন কিবরিয়া ও সানজামুল হক। অষ্টম উইকেট জুটিতে দলের রানের খাতায় এই দুজন যোগ করেন ৭৩ বলে ৫২ রান। দলীয় ১৪০ রানে ফিরে যান সানজামুল।
রাজশাহীর অধিনায়কর উইকেটটি নেন মোহাম্মদ আবু হাসিম। পরের ওভারে ফিরে যান কিবরিয়াও। রবিউলের বলে ফেরার আগে অবশ্য হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। ৬৫ বলে ৫৬ রানের এই ইনিংসে ছিল দশটি চার ও একটি ছক্কার মার।
তারপর দলকে একাই টানেন মোহর শেখ। ১৩ বলে দুটি চার ও একটি ছক্কায় ১৯ রান করেন তিনি। এই ইনিংসে রংপুরের বোলারদের মধ্যে ১৬ রান খরচায় তিন উইকেট নেন আরিফুল হক। দুটি করে উইকেট নেন রবিউল, আব্দুল গাফফার সাকলাইন এবং হাসিম।
এর আগে প্রথম ইনিংসে আরিফুল হকের সেঞ্চুরিতে দশ উইকেটে ১৮৯ রান তোলে রংপুর। ৪৭ রান খরচায় ছয় উইকেট নেন রাজশাহীর সাব্বির হোসেন। জবাবে রাজশাহীও প্রথম ইনিংসে তোলে ১৮৯ রান।
বড় কোনও ইনিংস না থাকলেও সাব্বিরের ৪৭ এবং ওয়াসি সিদ্দিকির অপরাজিত ৩৯ রানের কল্যাণে এই সংগ্রহ করে তারা। রংপুরের হয়ে ৩০ রান খরচায় তিন উইকেট নেন চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান।
এরপর অধিনায়ক আকবর আলীর ৭৭ এবং তানবির হায়দারের ৪০ রানে ভর করে ২৬২ রানে অলআউট হয় রংপুর। মোহর একাই নেন চার উইকেট। জয়ের জন্য ২৬৩ রানের লক্ষ্য পায় রাজশাহী।