|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আব্দুল হালিমের শর্ট অব লেংথ ডেলিভারিতে ফাইন লেগ দিয়ে চার মারলেন অমিত হাসান। উইকেটের পেছনে থাকা মোহাম্মদ মিঠুন অবশ্য বল লুফে নেয়ার চেষ্টা করেছিলেন তবে সফল হতে পারেননি। চার মেরেই মাথা থেকে হেলমেট খুলে দুই হাত প্রসারিত করে তারপর ব্যাট ও হেলমেট উঁচিয়ে ধরলেন অমিত। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৭ সেঞ্চুরি ও ৯ হাফ সেঞ্চুরি করা প্রথমবার পেলেন ডাবল সেঞ্চুরির স্বাদ।
জাতীয় ক্রিকেট লিগের এবারের আসরের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিও এটি। অমিতের ২১৩ রানের ইনিংস খেলার দিনে ১১৫ রান করেছেন আসাদুল্লা আল গালিব। তাদের দুজনের ব্যাটেই ৭ উইকেটে ৪৯৬ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে সিলেট বিভাগ। শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমে বিনা উইকেটে ৩ রান তুলেছেন খুলনার এনামুল হক বিজয় ও অমিত মজুমদার। আলোকস্বল্পতার কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হয়েছে দ্বিতীয় দিনের খেলা।
কক্সবাজারের একাডেমি মাঠে আগের দিনের ৩ উইকেটে ২৪৪ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন অমিত ও গালিব। ব্যাটিং স্বর্গে সিলেটের দুই ব্যাটারকে তেমন চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেননি খুলনার বোলাররা। সকালের প্রথম ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পর জুটির সেঞ্চুরি করেন অমিত ও গালিব। তারা দুজনে মিলে শতরানের জুটি গড়েছেন ২৫৪ বলে। লাঞ্চের যাওয়ার আগেও কোন উইকেট হারায়নি সিলেট। হাফ সেঞ্চুরির অপেক্ষা নিয়ে লাঞ্চে যাওয়া গালিব পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ১৩৩ বলে। একটু পর দেড়শ ছুঁয়েছেন অমিত।
১৪টি চার ও একটি ছয়ে ৩৩৬ বলে দেড়শ করেছেন ২৩ বছর বয়সী এই ব্যাটার। পুরো দিনটা নিজেদের করে নেয়া সিলেটের অমিত ও গালিব মিলে গড়েছেন দুইশ রানের জুটিও। যেখানে অমিত ১০৩ এবং গালিব ৯০ রানের অবদান রেখেছেন। শুরু থেকেই দেখেশুনে ব্যাটিং করেন গালিব। দারুণ ব্যাটিংয়ে পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখাও। টিপু সুলতানের ওভারে প্রথম বলে চার মেরে ৯৯ রানে পৌঁছেছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
টিপুর ওভারে চতুর্থ ডেলিভারিতে মিড উইকেট দিয়ে আরও একটি চার মেরে ২২৫ বলে সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন গালিব। একটু পর হালিমের বলে চার মেরে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন অমিত। শেষ বিকেলে অবিশ্বাস্যভাবে আউট হয়েছেন গালিব। শেখ মেহেদী বোলিং করার চেষ্টা করলেও ডানহাতি অফ স্পিনারের হাত থেকে বল ফসকে যায়। এমন অবস্থায় উইকেট থেকে অনেকটা বেরিয়ে এসে ছক্কা মারার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। লং অনে দাঁড়িয়ে থাকা জাওয়াদ রোয়েনকে ক্যাচ দিয়েছেন ১১৫ রানের ইনিংস খেলে।
গালিবের বিদায়ে ভাঙে অমিতের সঙ্গে তার ২৫১ রানের জুটি। পরের ওভারে আউট হয়েছেন তোফায়েল আহমেদ। জিয়াউর রহমানের বলে শেখ পারভেজ জীবনের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৭ রানে। দিনের শেষ বেলায় এসে নিজের উইকেট হারিয়েছেন অমিত। ২১৩ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলা অমিতকে ফিরিয়েছেন জিয়াউর। ডানহাতি পেসারের বলে পারভেজ জীবনের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। শেষ ব্যাটার হিসেবে রাহাতুল ফেরদৌস ফিরলে ৪৯৬ রানে ইনিংস ঘোষণা করে সিলেট। খুলনার হয়ে মেহেদী চারটি ও জিয়াউর নিয়েছেন তিনটি উইকেট।