|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বাংলাদেশের হয়ে গত এক বছর সুখকর ছিল না নাসুম আহমেদের জন্য। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে তাকে প্রহার করেছিলেন চান্ডিকা হাথুরুসিংহে। এরপর থেকেই মূলত তার বাজে সময় যাচ্ছিল। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সেই জিতেছে বাংলাদেশ। নাসুমের এমন পারফরম্যান্সে খুশি নাজমুল হোসেন শান্তও। খেলার প্রতি লম্বা সময় ধরে মনোযোগ ধরে রাখার কারণেই নাসুম এমন সাফল্য পেয়েছে বলে মনে করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।
গতকাল মূলত নাসুমই বাংলাদেশকে পথ দেখান। ১৮৪ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর জাকের আলী অনিকের সঙ্গে তার ৪১ বলে ৪৬ রানের জুটিতে ম্যাচে ফিরে বাংলাদেশ। এক চার এবং দুই ছক্কায় নাসুম করেন ২৪ বলে ২৫ রান।
বল হাতেও অনবদ্য ছিলেন নাসুম। ইমার্জিং এশিয়া কাপে আলোড়ন তোলা সেদিকুল্লাহ অটল, আজমতউল্লাহ ওমরজাই আর মোহাম্মদ গাজানফারের উইকেট তুলে নেন এই স্পিনার। সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক শান্তর প্রশংসা কুঁড়িয়ে নেন তিনি।
শান্ত বলেন, ‘পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আমার মনে হয় সবসময় খেলায় মনোযোগ ধরে রাখা উচিত এবং সে অইটাই করেছে। নাসুম এর আগেও ড্রেসিংরুমেও ছিল, ফলে মিরাজদের সাথে এডজাস্টমেন্টের কোনো সমস্যা হয়নি। ব্যাটিং-বোলিং যেভাবে করেছে সেটা দলকে সাহায্য করেছে এবং খুব সাহসের সাথে করেছে। ফলে তার অ্যাপ্রোচ আমার খুবই ভালো লেগেছে। আশা করব যে পরের ম্যাচেও এভাবেই করবে ইনশাল্লাহ।’
‘(ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট) জাকের-নাসুমের ব্যাটিং...। যেভাবে শেষ করল ইনিংস। বোলিং মনে হয় ওভারল ভালো করেছে বোলিং ইউনিট। ফিল্ডাররা আমার মনে হয় আগের ম্যাচের চেয়ে এই ম্যাচে ভালো ছিল।'
৮.৩ ওভার বোলিং করে ২৮ রান খরচায় তিন উইকেট নেন নাসুম। তার সঙ্গে আঁটসাঁট বোলিং করেন বাকিরাও। দশ ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজ দুই উইকেট নেন মাত্র ৩৭ রান খরচায়। একই বোলিং ফিগার ছিল মুস্তাফিজুর রহমানেরও। তবে তিনি করেন আট ওভার।
১১৯ বলে ৭৬ রান করে ম্যাচসেরা হওয়া শান্ত বলেন, ‘(মেহেদী হাসান) মিরাজ এবং নাসুম যেভাবে বল করেছে তাদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। বল হাতে আমরা যেভাবে শুরু করেছি, তাসকিন (রহমানউল্লাহ) গুরবাজকে ফিরিয়ে দিল। সে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যাটার। আমি ফিল্ডিংয়ের মাঝে অনেক এনার্জি দেখতে চাই এবং তারা আজ সেটা করে দেখিয়েছে। ফিনিশিংটা যেভাবে হয়েছে তাতে আমরা ভালো মোমেন্টাম পেয়ে যাই। আমি জাকের কাছ থেকে এবং লোয়ার মিডল অর্ডারের কাছ থেকে এটাই চাই।’