|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম অনেকটা শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের দূর্গের মতো। প্রতিপক্ষকে ডেকে এনে নাভিশ্বাস তুলে হারিয়ে দেয়া যেন লঙ্কানদের প্রতিনিয়ত এক চিত্র। গলে শ্রীলঙ্কাকে হারানো বরাবরই কঠিন। একটা সময় পেসারদের বধ্যভূমি হিসেবে বিবেচিত হলেও সবশেষ কয়েক বছরে গল স্পিনারদের জন্য স্বর্গ আর ব্যাটারদের ক্ষেত্রে সেটা একেবারে ‘মৃত্যুকূপ’। কদিন আগে সেই ‘মৃত্যুকূপে’ ডুবে মরেছে নিউজিল্যান্ড।
এবার সেখানে শ্রীলঙ্কার অতিথি অস্ট্রেলিয়া। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে আগামী বছরের জানুয়ারির শেষের দিকে শ্রীলঙ্কা সফরে আসবেন প্যাট কামিন্সরা। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের দৌড়ে থাকা শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে সিরিজটি। গলে অজিদের গুঁড়িয়ে দিয়ে লর্ডসের টিকিট কাটতে চাইবে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, কামিন্দু মেন্ডিসরা।
শ্রীলঙ্কায় আসার আগে ঘরের মাঠে অবশ্য ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি খেলবে অস্ট্রেলিয়া। সেই সিরিজের উপর নির্ভর করবে লঙ্কানদের বিপক্ষে খেলা তাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তবে শ্রীলঙ্কার জন্য মহাগুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে সিরিজটি। ২৯ জানুয়ারি মাঠে গড়াবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। পরের ম্যাচ হবে ৬-১০ ফেব্রুয়ারি।
টেস্ট সিরিজ শেষে একটি ওয়ানডে ম্যাচও খেলবে শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়া। ২০২৫ সালে পাকিস্তানের মাটিতে হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রস্তুতি হিসেবে ম্যাচটি খেলবে তারা। ১৩ ফেব্রুয়ারি দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হলেও কোন ভেন্যুতে খেলা হবে তা নিশ্চিত করেনি দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। লঙ্কা সফর শেষ করে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে যাবে অস্ট্রেলিয়া।
এদিকে ২০২২ সালের পর এবারই প্রথম শ্রীলঙ্কা সফর করবে অজিরা। সেবার প্রবাথ জয়াসুরির ১২ উইকেটে সিরিজে ১-১ সমতায় শেষ করেছিল লঙ্কানরা। তবে এবারের সিরিজে নাও দেখা যেতে পারে কামিন্স। পুরো সফর থেকে নিজেকে সরিয়ে নেবেন নাকি কোন একটি টেস্ট খেলবেন তা এখনও নিশ্চিত নয়। মূলত সেই সময় দ্বিতীয় সন্তানের বাবা হবেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক।
২০ জানুয়ারি শ্রীলঙ্কা সফরের বিমান ধরবে অস্টেলিয়া। যার ফলে বিগ ব্যাশের সঙ্গে চুক্তি থাকা ক্রিকেটাররা প্রায় বেশিরভাগ ম্যাচই খেলতে পারবেন। প্রধান কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড ও প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি জানিয়েছেন, শ্রীলঙ্কার কন্ডিশনের জন্য তারা নির্দিষ্ট করে ক্রিকেটারদের নির্বাচন করবেন। লঙ্কা সফরে দেখা যেতে পারে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও বাঁহাতি স্পিনার ম্যাট কুনেমানকে।