বাংলাদেশ ক্রিকেট

অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন শান্ত

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 12:32 শনিবার, 26 অক্টোবর, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

ফিল্ডিং সাজানো, বোলিং পরিবর্তন কিংবা ড্রেসিং রুমে সামলানো; অধিনায়কত্বের মৌলিক বিষয়গুলোতে বরাবরই পাশ মার্ক পেয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে অধিনায়কের পাশাপাশি নিজের ব্যাটিং সামলানোটাও বড় এক দায়িত্ব। সেখানেই প্রায়শই ব্যর্থ হয়েছেন অধিনায়কত্বে ঝলক দেখানো শান্ত। বাঁহাতি ব্যাটারের সবচেয়ে বড় সমস্যা ধারাবাহিকভাবে রান করতে না পারা।

সবশেষ কয়েক সিরিজে ধারাবাহিকতার ছিঁটেফোটাও দেখাতে পারেননি বাঁহাতি এই ব্যাটার। রানখরায় ভুগতে থাকায় অধিনায়ক শান্তকে নিয়ে সমালোচনাটা হচ্ছে প্রবলভাবে। সেটা হয়ত চোখ এড়িয়ে যায়নি তারও। নেতৃত্বের চাপ যে ব্যাটিংয়ে প্রভাব ফেলছে সেটা হয়ত অনুমান করতে পারছেন শান্ত নিজেও। সেটা ভেবেই হয়ত সাউথ আফ্রিকা সিরিজ শেষে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এমনটাই জানিয়েছে ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ।

নিজের এমন সিদ্ধান্তের কথা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে জানিয়ে দিয়েছেন শান্ত। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিসিবির বেশ কয়েকজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাকে অধিনায়ক হিসেবে থাকার পরামর্শ দিলেও সেটা রাজী হননি। তবে এখন পর্যন্ত শান্তর অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি দেশের ক্রিকেট বোর্ড।

ওমরাহ পালন করে সভাপতি ফারুক আহমেদ দেশে এলেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানা গেছে। বিসিবির এক কর্মকর্তা এ বিষয়ে ক্রিকবাজকে বলেন, ‘হ্যাঁ, সে আমাদের জানিয়েছে সাউথ আফ্রিকা সিরিজ শেষে সে আর দলকে নেতৃত্ব দিতে চায় না।’ একই প্রসঙ্গে শান্ত বলেন, ‘দেখা যাক কী হয়। কারণ আমি এখনও সভাপতির কাছ থেকে শোনার অপেক্ষায় আছি।’

২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর টি-টোয়েন্টি থেকে সরে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন শান্ত। তবে তৎকালীন নাজমুল হাসান পাপনের বোর্ডের চাওয়াতে অধিনায়কত্ব চালিয়ে যান তিনি। এদিকে গুঞ্জন আছে সাউথ আফ্রিকা সিরিজ শেষে শান্ত সরে দাঁড়ালে বাংলাদেশের ওয়ানডে এবং টেস্ট অধিনায়ক হতে পারেন মেহেদী হাসান মিরাজ। টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়ক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে তাওহীদ হৃদয়কে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সাকিব আল হাসানের জায়গায় স্থায়ী অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব নেন শান্ত। এখন পর্যন্ত তাঁর নেতৃত্বে ৯ টেস্টের তিনটিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয় আছে। বাংলাদেশকে কমপক্ষে ৫ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন এমন অধিনায়কদের তালিকায় জয়ের শতকরা হিসেবে সবার উপরে শান্ত। ব্যাটিং পরিসংখ্যানে তাকালে অবশ্য ব্যাটার ও অধিনায়ক শান্তর মাঝে খানিকটা পার্থক্য আছে।

অধিনায়ক হওয়ার আগে ২৩ টেস্টে ২৯.৮৩ গড়ে ১ হাজার ২৮৩ রান করেছেন। ৪ সেঞ্চুরির সঙ্গে আছে তিনটা হাফ সেঞ্চুরিও। অধিনায়ক হিসেবে ৯ টেস্টে ২৫.৭৬ গড়ে শান্তর রান ৪৩৮। সমান একটা করে সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। দুই সময়ের মাঝে তুলনা করলে দেখা যায় অধিনায়ক হিসেবে বাঁহাতি ব্যাটারের গড় কম। বড় ইনিংস খেলার দিক বিবেচনায় নিলে প্রতি ৫.৭৫ টেস্টে একটি করে সেঞ্চুরি করেছেন। যেখানে অধিনায়ক শান্ত ৯ টেস্টে করেছেন এক সেঞ্চুরি।

বিস্তারিত আসছে...