|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
পাকিস্তানের ক্রিকেটে কোচ কিংবা অধিনায়কের নির্বাচক কমিটিতে থাকা নতুন কিছু নয়। জেসন গিলেস্পিকে টেস্ট দলের প্রধান কোচ করে নিয়ে আসার পর তাই তাকেও রাখা হয়েছিল এই কমিটিতে। তবে রদবদলের পাকিস্তানে সবশেষ নির্বাচক কমিটি থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই ক্রিকেটারকে। কাজের পরিধি কমে যাওয়া খানিকটা হতাশ গিলেস্পি।
সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের কাছে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয় পাকিস্তান। দলের এমন পারফরম্যান্সের পর নির্বাচক প্যানেল থেকে সরিয়ে দেয়া হয় ওয়াহাব রিয়াজ ও আব্দুল রাজ্জাককে। নতুন করে কোন সাবেক ক্রিকেটারকে যোগ না করলেও মোহাম্মদ ইউসুফ ও আসাদ শফিকের সঙ্গে দল নির্বাচনের ভূমিকায় রাখায় হয় অধিনায়ক ও প্রধান কোচকে।
যদিও বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে হোয়াইওয়াটশের পর দায়িত্ব ছাড়েন ইউসুফ। পুরোনো কমিটি থেকে শফিককে রেখে নতুন করে যুক্ত করা হয় আকিভ জাভেদ, হাসান চিমা, আলিম দার ও আজহার আলীকে। তবে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়া হয় গিলেস্পিকে। দায়িত্ব কমে যাওয়ায় হতাশ পাকিস্তানের টেস্ট দলের প্রধান কোচ। যদিও গিলেস্পি স্বীকার করেছেন তাকে এই কাজের জন্য আনা হয়নি।
এ প্রসঙ্গ স্কাই স্পোর্টসকে গিলেস্পি বলেন, ‘আমি সময়ে সময়ে হতাশ হয়ে পড়ছি। যদিও আমাকে এই কাজের (নির্বাচক) জন্য নিয়ে আসা হয়নি। কিন্তু এটা সেই পরিস্থিতিগুলোর একটি, যা আপনাকে মেনে নিয়েই চলতে হবে।’
মোহাম্মদ হাফিজের অধীনে অস্ট্রেলিয়া সফরে গেলেও টেস্টে সিরিজে সুবিধা করে উঠতে পারেনি পাকিস্তান। বাজে পারফরম্যান্সের পর ধন্যবাদ দিয়ে সরানো হয় হাফিজকে। লম্বা সময়ের পরিকল্পনা মাথায় রেখে এবং টেস্ট দলকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে দায়িত্ব দেয়া হয় গিলেস্পির কাঁধে। তবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সঙ্গে যোগাযোগের ঘাটতি দেখছেন তিনি।
গিলেস্পি বলেন, ‘যখন আমি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে এলাম, আমাকে বলা হলো তাদের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা আছে এবং আমাদের মধ্যকার যোগাযোগে কোনো অস্পষ্টতা না থাকে। তাদের কথামতো আমি সেদিকেই মনোযোগী হয়েছি। কিন্তু আপনি যেভাবে চান, সেভাবে না করা হলে হতাশ হতে পারেন।’
যদিও অস্ট্রেলিয়া ও উপমহাদেশে কাজ করার ভিন্নতা টের পাচ্ছেন পাকিস্তানের এই প্রধান কোচ। তিনি বলেন, ‘এর আগে আমি আলাদা পরিবেশে কাজ করেছি এবং সেখানকার কাজগুলোতে ভিন্নভাবে করা হতো। সেটা নিয়ে যে কেউ একমত হতে পারে অথবা দ্বিমত থাকতে পারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমি এখানে আছি পাকিস্তান দলকে সাহায্য করতে, খেলোয়াড়দের ভালো করায় সাহায্য করতে।’