পাকিস্তান - ইংল্যান্ড সিরিজ

ইংল্যান্ডকে অল আউট করেও স্বস্তিতে নেই পাকিস্তান

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 20:35 বৃহস্পতিবার, 24 অক্টোবর, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

রাওয়ালপিন্ডির উইকেটের দুই পাশে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফ্যানের সঙ্গে আউটডোর হিটার! ইংল্যান্ড ও পাকিস্তান মিলে একাদশে ৬ বিশেষজ্ঞ স্পিনার। মুলতানের দ্বিতীয় টেস্টের মতো রাওয়ালপিন্ডিতেও নোমান আলী, সাজিদ খানদের জয়োল্লাস দেখা যাবে সেটা অনুমেয়ই ছিল। সিরিজের শেষ টেস্টের প্রথম দিনে শেষ পর্যন্ত হলোও তাই। সাজিদের জয়, নোমানের তিন আর জাহিদ মেহমুদের শিকার বাকি এক উইকেট। পাকিস্তানের তিন স্পিনারের ১০ উইকেটে ইংল্যান্ড থেমেছে ২৬৭ রানে। সফরকারীদের অল আউট করেও স্বস্তিতে নেই পাকিস্তান। শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭৩ রান তুলতে ৩ উইকেট হারিয়েছেন শান মাসুদরা। ইংল্যান্ডের চেয়ে ১৯৪ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিন ব্যাটিং নামবে স্বাগতিকরা।

টসে জিতে ব্যাটিং করতে নামা ইংল্যান্ডকে ভালো শুরুই এনে দিলেন জ্যাক ক্রলি ও বেন ডাকেট। তাদের দুজনের পঞ্চাশ পার করা জুটি ভেঙেছে ক্রলির বিদায়ে। নোমানের অফ স্টাম্পের বাইরের ফুলার ডেলিভারিতে ড্রাইভ করেছিলেন ডানহাতি ওপেনার। তবে ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক না হওয়ায় পয়েন্টে সাইম আইয়ুবকে ক্যাচ দিয়েছেন ২৯ রান করা ক্রলি। তিনে নেমে ব্যর্থ হয়েছেন ওলি পোপ। তাকে ফিরিয়েছেন অবশ্য আরেক স্পিনার সাজিদ।

ডানহাতি অফ স্পিনারের মিডল স্টাম্পের বলে সুইপ করেছিলেন পোপ। তবে বলের লাইন মিস করে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন তিনি। অনফিল্ড আম্পায়ার আউট দিলেও রিভিউ নেন ডানহাতি এই ব্যাটার। তবে সেটা কাজে দেয়নি ৩ রান করা পোপের জন্য। একটু পর জো রুটকে বিদায় করেছেন সাজিদ। ব্যাকফুটে গিয়ে লেগ সাইডে ঠেলে দেয়ার চেষ্টায় বলের লাইন মিস করে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন ৫ রান করা রুট। তিনি ফেরার পর হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ডাকেট। বাঁহাতি ওপেনার পঞ্চাশ ছুয়েছেন ৭৬ বলে।

যদিও হাফ সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ডাকেট। নোমানের নিচু হওয়া ডেলিভারিতে তিনিও লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদেই পড়েছেন। ইংলিশ ওপেনারের ব্যাট থেকে এসেছে ৫২ রান। পরের ওভারে হ্যারি ব্রুককে সাজঘরে পাঠিয়েছেন সাজিদ। ৩১ বছর বয়সী স্পিনারের বলে অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরে গিয়ে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন। তিনি ফিরেছেন ৫ রানে। দলের রান একশ হওয়ার আগে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে ইংল্যান্ড। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছেন বেন স্টোকস।

দিনের প্রথম সেশনে ৫ উইকেট হারিয়ে ১১০ রান তুলতে পারে ইংল্যান্ড। লাঞ্চ থেকে ফিরেই স্টোকসের উইকেট হারায় তারা। সাজিদের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে প্রথম স্লিপে থাকা আঘা সালমানকে ক্যাচ দিয়েছেন। ইংলিশ অধিনায়ককে ফিরতে হয়েছে মাত্র ১২ রানে। এরপর অবশ্য জুটি গড়ে তোলেন জেমি স্মিথ ও গাস অ্যাটকিনসন। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ১০৭ রান। স্মিথ ও অ্যাটকিনসনের শতরানের জুটি ভেঙেছেন নোমান। বাঁহাতি স্পিনারের বলে লিডিং এজ হয়ে ক্যাচ আউট হয়েছেন ৩৯ রান করা অ্যাটকিনসন।

এর আগে অবশ্য ৯৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন স্মিথ। সেঞ্চুরির আগে অবশ্য সাজঘরে ফিরতে হয়েছে উইকেটকিপার ব্যাটারকেও। জাহিদের বলে ফেরার আগে ৮৯ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। শেষদিকে জ্যাক লিচ ও রেহান আহমেদও আউট হয়েছেন দ্রুতই। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডকে থামতে হয় ২৬৭ রানে। পাকিস্তানের হয়ে ১২৮ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন সাজিদ। বাকিদের মাঝে নোমান ৮৮ রানে তিনটি এবং জাহিদ এক উইকেট নিয়েছেন ৪৪ রান খরচায়।

ইংল্যান্ডকে অল আউট করে ব্যাটিং করতে নেমে ২৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৭৩ রান করেছে পাকিস্তান। ইনিংসের দশম ওভারে ১৪ রানে ফিরেছেন আব্দুল্লাহ শফিক। আরেক ওপেনার সাইম আউট হয়েছেন ১৯ রানে, লিচের বলে রুটের হাতে ক্যাচ দিয়ে। একেবারে শেষ বিকেলে কামরান গুলামকে নিজের শিকার বানিয়েছেন অ্যাটকিনসন। ইংল্যান্ডের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন অ্যাটকিনসন, লিচ ও শোয়েব বাশির।