সাউথ আফ্রিকা - ভারত সিরিজ

বাংলাদেশকে হারাতে মার্করামদের কাজে দিয়েছে আইপিএল

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 16:50 বৃহস্পতিবার, 24 অক্টোবর, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

সাউথ আফ্রিকা ও উপমহাদেশের উইকেটে আকাশ-পাতাল তফাৎ। ঘরের মাঠে বাউন্স, সুইং, পেসে ব্যাটসম্যানদের নাকানিচুবানি খাওয়ান প্রোটিয়ারা পেসাররা। উপমহাদেশে খেলতে এলে অবশ্য একগাদা স্পিনার নিয়ে আসতে হয় তাদের। ব্যাটারদের চ্যালেঞ্জটাও তাদের বিপক্ষেও। তবে সবশেষ কয়েক বছরে একটু একটু করে উপমহাদেশের কন্ডিশন চিনতে ও পড়তে শিখেছেন প্রোটিয়ারা। সেটার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান অবশ্য ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল)।

ভারতের জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে পাঞ্জাব কিংসের হয়ে খেলেন কাগিসো রাবাদা, সানরাইজার্স হায়দরাবাদে এইডেন মার্করাম, হেনরিখ ক্লাসেন, মার্কো ইয়ানসেন, গুজরাট টাইটান্সে ডেভিড মিলার, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে ডেওয়াল্ড ব্রেভিস, দিল্লি ক্যাপিটালসে অ্যানরিখ নরকিয়া, লুঙ্গি এনগিদি, ট্রিস্টিয়ান স্টাবস এবং রাজস্থান রয়্যালসে ছিলেন কেশভ মহারাজ। যদিও তাদের মাঝে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টের একাদশে ছিলেন মাত্র ৪ জন।

নিয়মিত ভারতের কন্ডিশনে খেলায় বাংলাদেশে কাজটা সহজ হয়ে গেছে তাদের জন্য। সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারানোর পর মার্করাম জানিয়েছেন, সবশেষ কয়েক বছরে আইপিএল খেলায় উপমহাদেশের কন্ডিশনে স্পিনারদের খেলার পথ খুঁজে পেয়েছেন। বছরের অন্তত দুই মাস ভারতে খেলাটা যে কাজে দিয়েছে সেটা অন্তত প্রথম টেস্টে তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসানদের বিপক্ষে তাদের ব্যাটিংই বুঝিয়ে দিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মার্করাম বলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই। আমার মনে হয় কন্ডিশনে আপনাকে দীর্ঘ সময় থাকতে হবে শেখার জন্য। আইপিএল অনেক লম্বা টুর্নামেন্ট ২ মাসের বেশি। ৩ বছর ধরে খেলা হচ্ছে সেখানে। ৬ মাস এমন কন্ডিশনে ব্যাট করাটাই আমাকে আরও ভালো করে তুলেছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় স্পিন ভালো খেলার চেষ্টা করলেও কন্ডিশন সেটা করতে দেয় না। ফলে কন্ডিশনে এলেই ভালোভাবে শিখতে পারবে। আইপিএল অনেক সাহায্য করেছে এখানে।’

নিজেদের ঘরের মাঠে খেলা হলেও সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। রাবাদা ও উইয়ান মুল্ডারের পেস এবং মহারাজার স্পিনে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০৬ রানে গুটিয়ে যান নাজমুল হোসেন শান্তরা। বোলিংয়ে ১০৮ রানে ৬ উইকেটে তুলে নিয়ে শুরুটা ভালো করলেও শেষ পর্যন্ত সেটা ধরে রাখতে পারেনি তাইজুলরা। কাইল ভেরেইনার সেঞ্চুরিতে ২০২ রানের লিড পায় প্রোটিয়ারা। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য মেহেদী হাসান মিরাজের ৯৭ ও জাকের আলী অনিকের হাফ সেঞ্চুরিতে ৩০৭ রান তোলে বাংলাদেশ।

যদিও ৭ উইকেটে হেরে সিরিজে পিছিয়ে পড়তে হয়েছে স্বাগতিকদের। দল হিসেবে পারফর্ম করতে না পারায় হতাশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। যদিও মার্করাম জানিয়েছেন, ব্যাটে-বলে বাংলাদেশ তাদের কঠিন সময় দিয়েছে। বাংলাদেশকে কৃতিত্ব দিয়ে সাউথ আফ্রিকার অধিনায়ক জানান, দারুণ ব্যাটিং করা মিরাজ সেঞ্চুরি ডিজার্ভ করতো।

মার্করাম বলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই। নতুন বল খেলাটা বেশ কঠিন ছিল ব্যাটার হিসেবে। গতকাল বা তার আগের দিনও তারা ভালো জুটি গড়েছে। বল নরম ছিল কিছুটা। উইকেট তুলতে আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। অনেক কৃতিত্ব দিতে হবে তাদের। মেহেদী দারুণ খেলেছে। সেঞ্চুরিটা সে ডিজার্ভ করত। চ্যালেঞ্জ ছিল অনেক। তবে আমরা তা মানিয়ে নিয়েছি অনেক পরিশ্রম করে। অবশ্যই বাংলাদেশকে এখানে কৃতিত্ব দিতে হবে।’