|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
প্রথম ইনিংসেই খুলনার বিভাগের বিপক্ষে রাজশাহীর লিড ছিল দুইশ ছাড়ানো। সেটাকে পাঁচশ ছাড়িয়ে নিয়ে গেছেন সাব্বির হোসেন। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা তানজিদ হাসান তামিম দ্রুত ফিরলেও ৬ ছক্কা ও ১৩ চারে সাব্বির খেলেছেন ১৫০ রানের অনবদ্য ইনিংস। ৬ উইকেটে ২৮৩ রানে ইনিংসে ঘোষণা করলে খুলনা বিভাগের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫১৬ রান। এমন লক্ষ্য তাড়ায় সৌম্য সরকার ও অমিত মজুমদার মিলে বিনা উইকেটে খুলনাকে ১২০ রান এনে দিয়েছেন। জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম রাউন্ডে জিততে হলে শেষদিনে ৩৯৬ রান করতে হবে খুলনাকে। ড্র করতে চাইলে ১০ উইকেট হাতে থাকা খুলনাকে ব্যাটিং করতে হবে পুরো দিন। রাজশাহী অবশ্য ১০ উইকেট তুলে নিতে পারলেই জয়টা নিশ্চিত করবে।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ৫১৬ রান তাড়ায় বেশ ভালোভাবেই জবাব দিচ্ছে খুলনা। বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই সাবধানী ছিলেন সৌম্য ও অমিত। ১৯.২ ওভারে দলের রান পঞ্চাশ ছুঁয়েছে তাদের। সানজামুল ইসলামের বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা মেরে জুটির পঞ্চাশ পূরণ করেছেন সৌম্য। একটু পর হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন সৌম্য নিজেও। মোহর শেখ অন্তরের লেগ স্টাম্পের উপরের ডেলিভারিতে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ঠেলে দিয়ে ৭১ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন।
শেষ বিকেলে অবশ্য দ্রুত রান তোলায় খানিকটা মনোযোগী ছিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হওয়া সৌম্য তৃতীয় দিন শেষে অপরাজিত আছেন ৯৮ বলে ৮০ রানের ইনিংস খেলে। তাকে সঙ্গ দেয়া অমিত করেছেন ১০৬ বলে ৩৭ রান। ম্যাচ জিততে হলে এখনও লম্বা পথ পাড়ি দিতে হবে তাদের। শুধু তাই নয় ঢাকা মেট্রোর সবচেয়ে বেশি ৪৫১ রান তাড়ার রেকর্ড ভাঙতে হবে খুলনাকে। কাজটা যে একেবারে সহজ হবে না সেটা নিশ্চিতভাবেই জানে তারা।
এর আগে খুলনার চেয়ে ২৩২ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং নামে রাজশাহী বিভাগ। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি পেলেও এবার দ্রুতই ফিরেছেন তানজিদ তামিম। ওয়ানডে ঘরানার ব্যাটিং করতে গিয়ে ১৫ বলে ১৭ রান করে ফিরেছেন বাঁহাতি ওপেনার। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি হাবিবুর রহমান সোহান। ডানহাতি ব্যাটার ফিরেছেন ১৪ রানে। তবে অন্য প্রান্তে ওয়ানডে মেজাজে দ্রুত রান তুলে যাচ্ছিলেন সাব্বির।
সোহান ফেরার পর সাব্বিরের সঙ্গে জুটি গড়ে তোলেন প্রিতম কুমার। যদিও ৪৬ বল খেলা উইকেটকিপার ব্যাটার ২৬ রানের বেশি করতে পারেননি। দারুণ ব্যাটিংয়ে সৌম্যর বলে ডিপ মিড উইকেটে ঠেলে দিয়ে এক রান নিয়ে ১০০ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করেছেন। অন্যান্যদের মতো সাজঘরের পথে হেঁটেছেন ফরহাদ হোসেন, শাখির হোসেন শুভ্ররা। সেঞ্চুরি পাওয়া সাব্বির থেমেছেন ১৩৯ বলে ১৫০ রানের ইনিংস খেলে। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ২৮৩ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে রাজশাহী।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (তৃতীয় দিন শেষে):
রাজশাহী বিভাগ (প্রথম ইনিংস)- ৪২৬/১০ (১০৫.৫ ওভার) (তানজিদ ১৪১, ফরহাদ ৯৩, শাখির ৬৮, প্রিতম ৪৬; মেহেদী ২/১০৭, হালিম ২/৭৫, আল আমিন ৫/৯৬)।
খুলনা বিভাগ (প্রথম ইনিংস)- ১৯৪/১০ (৬১.২ ওভার) (জিয়াউর ৫৪*, অমিত ৫২; মেহেরব ৬/৩৫)
রাজশাহী বিভাগ (দ্বিতীয় ইনিংস)- ২৮৩/৬ ডিক্লে (৫০ ওভার) (সাব্বির ১৫০, শাখির ২৪, তানজিদ ১৭; নাহিদুল ২/৬১)
খুলনা বিভাগ (দ্বিতীয় ইনিংস)- ১২০/০ (৩৪ ওভার) (সৌম্য ৮০*, অমিত ৩৭*)