|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ছাড়িয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে বিনিয়োগ করছে ভারতীয়রা। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি লিগে দলের মালিকানা নিয়েছে আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টি, এসএ-টোয়েন্টি, মেজর লিগ ক্রিকেট (এমএলসি) যাদের মাঝে অন্যতম। এবার ইংল্যান্ডের মাঠেও নেমে পড়ছে আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। ১০০ বলের টুর্নামেন্ট আয়োজন করলেও লাভের মুখ দেখতে পারছিল না ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।
কয়েক দফায় লোকসানের পর মালিকানার একটি অংশ বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। বেশিরভাগের চাওয়া ছিল দ্য হান্ড্রেডকে জনপ্রিয় করে তুলতে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিদের হাতে মালিকানা তুলে দেয়া। অবশেষে সবার সেই চাওয়া পূরণ হতে যাচ্ছে। কদিন আগে ইসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রতিটি দলের ৪৯ শতাংশ মালিকানা বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। বাকি ৫১ শতাংশ দেশটির ক্রিকেট বোর্ড ও আয়োজক কাউন্টি ক্লাবের কাছে থাকবে।
প্রতিটি দলের সেই ৪৯ শতাংশ মালিকানা কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছে আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিরাও। ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ জানিয়েছে, দল পেতে প্রথম বিডে অংশ নিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং দিল্লি ক্যাপিটালস। আনুষ্ঠানিক খবর না পাওয়া গেলেও ধারণা করা হচ্ছে রাজস্থান রয়্যালসও আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং বিড করেছে।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সহ-মালিকানায় থাকা আভ্রাম গ্লেজার্স ল্যান্সার ক্যাপিটালস আইএলটি-টোয়েন্টিতে ডেজার্ট ভাইপার্সের মালিকানায় আছে। শোনা যাচ্ছে, দ্য হান্ড্রেডে দল পেতে তারাও বিডে অংশ নিচ্ছে। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে ব্রিটিশ ফার্ম দিয়েগোর অধীনে থাকা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু কোন প্রকার বিড সাবমিট করেনি। বেঙ্গালুরুর মতো ঘটনা পাঞ্জাব কিংসের ক্ষেত্রেও।
সিভিসি ক্যাপিটালের অধীনে থাকা গুজরাট টাইটান্স বিডে অংশ নিচ্ছে নাকি নিচ্ছে না সেটার নিশ্চিত হওয়া যায়নি। যদিও আহমেদাবাদের ফ্র্যাঞ্চাইজিটির ইংল্যান্ডে নিজেদের অফিস আছে। ভারতের সিভিসি অফিসিয়ালরা এখনও জানেন না বিডে অংশ নেয়া হবে কিনা। তবে গুজরাট দলের লন্ডনের অপারেশনাল হেড নিক ক্ল্যারি বিড করার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন।
যেহেতু এটি প্রথম রাউন্ড তাই বিনিয়োগকারীদের কোন দল নির্বাচনের প্রয়োজন নেই। তবে দ্বিতীয় রাউন্ডে গিয়ে বেশিরভাগ সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ইসিবির মতে, আইপিএলের মেগা নিলামের পর এসবের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বানিজ্যিক আলোচনাগুলোও দ্বিতীয় রাউন্ডেই হবে। প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য ৭৫ থেকে ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড প্রত্যাশা করছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড।