|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
তানজিদ হাসান তামিমের সেঞ্চুরির সঙ্গে ফরহাদ হোসেন ও শাখির হোসেন শুভ্রর হাফ সেঞ্চুরিতে প্রথম দিনেই চারশর কাছে ছিল রাজশাহী বিভাগে। মাত্র ৪ উইকেট হারানোয় নিশ্চিতভাবেই আরও বড় পুঁজির পথে হাঁটছিল। তবে আল আমিন হোসেনের পেস আগুনে পুড়ে রাজশাহীকে থামতে হয়েছে ৪২৬ রানে। জবাব দিতে নেমে ব্যাট হাতে একে একে ব্যর্থতার মিছিলে হেঁটেছেন এনামুল হক বিজয়, সৌম্য সরকার, নুরুল হাসান সোহান, মোহাম্মদ মিঠুন। রাজশাহীর স্পিনার এসএম মেহেরব হাসানের ৬ উইকেটে খুলনা বিভাগ থেমেছে ১৯৪ রানে। খুলনার চেয়ে ২৩২ রানে এগিয়ে থেকে তৃতীয় দিনে খেলতে নামবে রাজশাহী।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করতে নামা খুলনার শুরুটা ভালো হয়নি। বিনা উইকেটে ৫ রান নিয়ে লাঞ্চে গেলেও সেখান থেকে ফিরে ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে উইকেট হারায় তারা। মোহর শেখ অন্তরের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে চেয়েছিলেন বিজয়। খানিকটা বাড়তি বাউন্স থাকায় এজ হয়ে উইকেটের পেছনে থাকা প্রিতম কুমারকে ক্যাচ দিয়েছেন রানের খাতা খুলতে না পারা এই ওপেনার।
আরেক ওপেনার সৌম্য উইকেটে থিতু হলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৫৬ বলে ১৭ রানের ইনিংস খেলা সৌম্যকে ফিরিয়েছেন আসাদুজ্জামান পায়েল। ডানহাতি পেসারের শর্ট অব লেংথ ডেলিডারিতে পুল করতে গিয়ে শর্ট মিড উইকেটে থাকা সানজামুল ইসলামকে ক্যাচ দিয়েছেন। চারে নেমে টিকতে পারেননি মিঠুন। সাব্বির হোসেনের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে ফরহাদকে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। মিঠুনের ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ৬ রান। পরের ওভারে ফিরেছেন সোহানও।
মোহরের অফ স্টাম্পের বলে এজ হয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন। দলের রান পঞ্চাশ হওয়ার আগে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে খুলনা। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন অমিত মজুমদার ও নাহিদুল ইসলাম। তারা দুজনে মিলে ৭৬ রানের জুটি গড়েন। দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা নাহিদুলকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মেহেরব। ডানহাতি অফ স্পিনারের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে প্রিতমকে ক্যাচ দিয়েছেন ৪৫ রানের ইনিংস খেলা নাহিদুল। হাফ সেঞ্চুরিয়ান অমিতও ফিরেছেন একটু পরই।
মেহেরবের বাইরের বলে সামনের পায়ে ভর করে খেলতে গিয়ে এজ হয়ে স্লিপে থাকা ফরহাদকে ক্যাচ দিয়েছেন। বাঁহাতি ব্যাটার অমিত ফিরেছেন ৫২ রানের ইনিংস। কয়েক ওভারের ব্যবধানে ফিরেছেন জীবন, শেখ মেহেদী হাসানরা। বাকিরা সেভাবে কিছু করতে না পারলেও খুলনার রান বাড়িয়েছেন জিয়াউর রহমান। অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার অপরাজিত ছিলেন ৫৪ রানের ইনিংস খেলে। জিয়াউরের এমন ইনিংসের পরও ১৯৪ রানে অল আউট হয়েছে খুলনা। রাজশাহীর হয়ে মাত্র ৩৫ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন মেহেরব।
দিনের শুরুতে ৪ উইকেটে ৩৮৫ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামের রাজশাহীর দুই ব্যাটার ফরহাদ ও শাখির। তবে তাদের দুজনের কেউই বেশিক্ষণ টিকতে দেননি। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৭ রান দূরে থাকতে আল আমিনের বিপক্ষে লেগ বিফোর উইকেট হয়ে ফিরেছেন। ৬৮ রানের ইনিংস খেলা শাখিরকেও নিজের শিকার বানিয়েছেন আল আমিন। শেষ দিকে আর কেউই সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি। দ্বিতীয় দিন মাত্র ৪১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪২৬ রানে অল আউট হয়েছে রাজশাহী। খুলনার হয়ে আল আমিন পাঁচটি এবং দুটি করে উইকেট নিয়েছেন আব্দুল হালিম ও মেহেদী।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রাজশাহী বিভাগ (প্রথম ইনিংস)- ৪২৬/১০ (১০৫.৫ ওভার) (তানজিদ ১৪১, ফরহাদ ৯৩, শাখির ৬৮, প্রিতম ৪৬; মেহেদী ২/১০৭, হালিম ২/৭৫, আল আমিন ৫/৯৬)।
খুলনা বিভাগ (প্রথম ইনিংস)- ১৯৪/১০ (৬১.২ ওভার) (জিয়াউর ৫৪*, অমিত ৫২; মেহেরব ৬/৩৫)