|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সবশেষ আসরে দুর্দান্ত ঢাকার অধিনায়ক ছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ডানহাতি অফ স্পিন অলরাউন্ডারের মতো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শুভাগত হোম। বিপিএলের আগামী আসরের ড্রাফট থেকে এখন পর্যন্ত দল পাননি তাদের দুজনের কেউই।
তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মোসাদ্দেক, সাইম আইয়ুবদের নিয়ে মাঝারি মানের দল সাজালেও ভালো ফলাফলের দেখা পায়নি ঢাকা। পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থেকে বিপিএলের গত মৌসুম শেষ করেছিল তারা। এমন পারফরম্যান্সের পর বিপিএল থেকে সরে দাঁড়ায় নিউটেক্স গ্রুপ। তাদের হয়ে সেবার খেলেছিলেন মোসাদ্দেক। দলটির নেতৃত্বও ছিল বাংলাদেশের অলরাউন্ডারের কাঁধে।
ঢাকার হয়ে ৯ ম্যাচে মাত্র ৯১ রান করেছিলেন মোসাদ্দেক। বল হাতে শিকার করেছিলেন মাত্র ৩ উইকেট। এমন পারফরম্যান্সের পর বিপিএলের এবারের আসরের ড্রাফট থেকে দল পাননি গতবারের ঢাকার অধিনায়ক। অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারের মতো একই দশা শুভাগত হোমের ক্ষেত্রেও। গত মৌসুমে চট্টগ্রামের হয়ে খেলা শুভাগত ১৩ ম্যাচে করতে পেরেছিলেন মাত্র ১২৯ রান।
ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক বুঝিয়ে দিতে না পারায় এবারের আসরে চট্টগ্রামের মালিকানা পায়নি চ্যালেঞ্জার্সের আখতার গ্রুপ। তাদের জায়গা এবার বিপিএল খেলবে চিটাগং কিংস। গত মৌসুমের দল না থাকায় শুভাগত হোমের প্রতি আগ্রহ দেখায়নি কেউই। তবে বেশিরভাগ দলের এখনও দেশি কোটা পূরণ না হওয়ায় তাদের বিপিএল খেলার সুযোগ থাকছে আছে এখনও।
বাংলাদেশের অন্যতম সেরা টেস্ট ক্রিকেটার মুমিনুল হকও আছেন দল না পাওয়াদের তালিকায়। সবশেষ আসরে শুরুতে দল না পেলেও টুর্নামেন্টের মাঝ পথে বাঁহাতি ব্যাটারের সঙ্গে চুক্তি করেছির রংপুর রাইডার্স। এ ছাড়া বিপিএলের এবারের আসরে দল পাননি শামসুর রহমান শুভ, রুবেল হোসেন, নাজমুল ইসলাম অপুর মতো ক্রিকেটাররা।
দেশি ও বিদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে ঢাকার পাঁচতারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফট। সেখান থেকে নিজেদের পছন্দ মতো ক্রিকেটার নিয়ে দল সাজিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। প্রাথমিকভাবে ২৭ ডিসেম্বর বিপিএল শুরুর কথা থাকলেও তিনদিন পিছিয়ে সেটা হতে পারে ৩০ ডিসেম্বর থেকে। বিপিএলের ফাইনালে হবে ৮ ফেব্রুয়ারি।