|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সেন্ট লুসিয়া কিংসের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে এসে একটি বলার খেলার পরই ছলছল চোখ নিয়ে মাঠের বাইরে চলে গেলেন ডোয়াইন ব্রাভো। সিপিএলের সবচেয়ে সফলতম ক্রিকেটার যেন নিজের কান্না ধরে রাখতে পারছিলেন না একদমই। ব্রাভো নিজেও হয়ত ভেবে নিয়েছিলেন এটাই তার শেষ ম্যাচ। দিন শেষে এমন ভাবনাই সত্যি হয়েছে। টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই নিজের বিদায়ের কথা জানিয়েছিলেন তারকা অলরাউন্ডার। মৌসুম শেষে সিপিএলকে বিদায় বলতে চাওয়া ব্রাভোকে চোটের কারণে শেষ বলতে হলো আগেই।
২৪ অক্টোবর সেন্ট লুসিয়ার বিপক্ষে নিজের ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল) ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলেছেন ব্রাভো। মঙ্গলবার ত্রিনিদাদে ইনিংসের সপ্তম ওভারে ফিল্ডিং করার সময় ফাফ ডু প্লেসির ক্যাচ নিতে গিয়ে কুঁচকিতে চোট পেয়েছিলেন তিনি। চোটের কারণে তৎক্ষণাৎ মাঠের বাইরে চলে যেতে হয় ‘চ্যাম্পিয়ন’ ব্রাভোকে। বোলিং ইনিংসে আর মাঠে নামেননি এই অলরাউন্ডার।
অনুমেয়ভাবে সেদিন বোলিংও করেননি ব্রাভো। তবে ২১৯ রান তাড়ায় ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের হয়ে ব্যাট হাতে নেমেছিলেন ১১ নম্বর ব্যাটার হিসেবে। নিজের শেষ ম্যাচে মাত্র একটি বল খেলেছিলেন, সেটিও তার উরুতে আঘাত করে। ফলে রিটার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। কাইরন পোলার্ড জানিয়েছেন, ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়ার সময়ই তারা ধারণা করেছিলেন এটি গুরুতর।
ব্রাভোকে জাদুকরী আখ্যা দিয়ে পোলার্ড বলেন, ‘সে চোট পাওয়ার পরই এটিকে বেশ গুরুতর মনে হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর জন্য সে যা করেছে, আরও বৃহত্তরভাবে গোটা বিশ্বের জন্য ও ক্রিকেট খেলাটির জন্য।’
‘জাদুকরী এক ব্যক্তিত্ব সে এবং সবসময়ই ছিল সবার জন্য প্রেরণাদায়ী। তাকে স্রেফ বলতে চাই ‘ধন্যবাদ।’ এই মুহূর্তে সে খুব ভালো অবস্থায় নেই অবশ্যই। তবে ক্রিকেটের জন্য সে নিজের সবটুকু উজাড় করে দিয়েছে এবং ক্রিকেটও তাকে পুরস্কৃত করেছে।’
সিপিএলে ১০৭ ম্যাচ খেলে ১২৯ উইকেট নিয়েছেন ব্রাভো। ৪১ বছর ছুঁইছুই অলরাউন্ডারের চেয়ে বেশি উইকেট নেই আর কারও। ব্যাট হাতে ব্রাভো ১ হাজার ১৫৫ রান করেছেন। ট্রফি জেতাও অনন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক এই ক্রিকেটার। বিদায় জানানোর আগে সিপিএলে পাঁচবার ট্রফি জিতেছেন ব্রাভো। যেখানে ত্রিনবাগোর হয়েই জিতেছেন তিনটি। ২০২১ সালে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের প্রথম শিরোপা জয়েও অবদান রেখেছেন।