|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
শারজাহতে রহমানউল্লাহ গুরবাজের সেঞ্চুরি এবং রশিদ খানের পাঁচ উইকেটের সৌজন্যে সাউথ আফ্রিকাকে ১৭৭ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে আফগানিস্তান। এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতল হাশমতউল্লাহ শহীদির দল।
প্রথম ম্যাচে খানিকটা লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিল সাউথ আফ্রিকা। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানদের কাছে কোনো পাত্তাই পায়নি প্রোটিয়ারা। টস জিতে আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে চার উইকেটে ৩১১ রান তোলে আফগানরা।
ওপেনিং জুটিতেই দলটি তোলে ৮৮ রান। ৪৫ বলে ২৯ রান করা তরুণ ওপেনার রিয়াজ হাসানকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলে এই জুটি ভাঙেন এইডেন মার্করাম। এরপর রহমত শাহকে সঙ্গে নিয়ে ১০১ রানের জুটি গড়েন গুরবাজ।
এই জুটিতে নিজের সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। নান্দ্রে বার্গারের বলে বোল্ড হওয়ার আগে গুরবাজ ১১০ বলে দশটি চার ও তিনটি ছক্কায় ১০৫ রান করেন। দলীয় ২১৬ রানে বিদায় নেন রহমতও। তার ব্যাটে আসে ৬৬ বলে ৫০ রানের ইনিংস।
আফগানদের হয়ে শেষের কাজটি বেশ ভালোভাবেই করেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ৫০ বলে পাঁচটি চার ও ছয়টি ছক্কায় ৮৬ রানে অপরাজিত থেকে ইনিংস শেষ করেন তিনি। এ ছাড়া মোহাম্মদ নবির ব্যাটে আসে ১৯ বলে ১৩ রান।
সাউথ আফ্রিকার হয়ে এদিন মার্করাম, বার্গার ছাড়াও একটি করে উইকেট নেন লুঙ্গি এনগিদি ও কাবায়োমজি পিটার। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এ দিন রশিদের দাপুটে বোলিংয়ে সুবিধা করতে পারেনি প্রোটিয়ারা।
মাত্র ১৯ রান খরচায় রশিদ এ দিন নেন পাঁচ উইকেট, হন ম্যাচসেরাও। শুরুটা অবশ্য ভালোই করে দলটি। ওপেনিং জুটিতে তোলে ৭৩ রান। এরপর টেম্বা বাভুমাকে ফেরান ওমরযাই। ৪৭ বলে ৩৮ রান আসে প্রোটিয়া নেতার ব্যাটে।
এরপর ৪৪ বলে ৩১ রান করা টনি ডি জর্জিকে ফেরান রশিদ। পরবর্তীতে ট্রিস্তান স্টাবস (৬ বলে ৫), কাইল ভেরাইনি (২ বলে ২), উইয়ান মাল্ডারকে (৭ বলে ২) ফেরান তিনি। শেষ দুজনকে ফেরান লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে।
৩০ বলে ২১ রান করা মার্করামকেও প্যাভিলিয়নে ফেরান রশিদ। ৩৪.২ ওভারে ১৩৪ রান করে অলআউট হয় প্রোটিয়ারা। এদিন রশিদের সঙ্গে জ্বলে ওঠেন নাঙ্গেলিয়া খারোতেও। ২৬ রান খরচায় চার উইকেট নেন তিনি।