|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
নাজমুল হোসেন শান্ত, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, এনামুল হক বিজয়, নাইম শেখ, লিটন দাস থেকে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তারকা ঠাসা দল বলতে যা বোঝায় ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) গত মৌসুমে তেমন দলই সাজিয়েছিল আবাহনী লিমিটেড। নিজেদের শক্তিমত্তা বোঝাতে সবশেষ মৌসুমের সময় খালেদ মাহমুদ সুজন বলেছিলেন, ‘আমাদের দলটা যথেষ্ট শক্তিশালী, যথেষ্ট না অনেক শক্তিশালী।’
ডিপিএলের সবশেষ কয়েক মৌসুমেই তারকায় ঠাসা দল বানিয়েছে আবাহনী। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের মার্চে হতে যাওয়া টুর্নামেন্টেও একই মানের দল নিয়ে মাঠে নামার কথা ভেবে রেখেছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। তবে দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনে দেশ ছেড়েছেন আবাহনী বেশ কয়েকজন সংগঠক। যার ফলে তারকাবহুল দল সাজাতে বেগ পেতে হবে তাদের। যদিও সুজন জানিয়েছেন, আগে থেকেই দল করা ছিল।
গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এ প্রসঙ্গে সুজন বলেন, ‘দল তো ইতোমধ্যে করা ছিল, টাকা দেয়াটা সমস্যা হবে। সেক্ষেত্রে হবে কি হবে না সেটা আমি বলতে পারব না, সেটা সময়ই বলে দেবে। এখনও অনেক সময় বাকি। যদি খেলোয়াড়রা তাদের পারিশ্রমিক ঠিক মতো বুঝে না পায় তাহলে তো অবশ্যই অন্য দলের অফার থাকবে, চলে যাবে।’
বেশিরভাগ মৌসুম শুরুর আগে দল বদলের জন্য সময় বেঁধে দেয় ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম)। এমন সময় তারকা ক্রিকেটারদের দল পরিবর্তন করতে দেখা যায়। তবে ঐতিহ্যবাহী দলের হয়ে খেলতে অনেক ক্রিকেটার পারিশ্রমিক কমিয়ে নেয়ার কথা জানিয়েছেন। যদিও সুজন জানান, ৫ লাখ টাকা কমিয়ে নিলেও পারিশ্রমিক দেয়া কঠিন হয়ে যাবে ক্লাবের পক্ষে।
সুজন বলেন, ‘অনেক ছেলে আমাকে ফোন করেছে তারা বলেছে স্যার আমরা স্যাক্রিফাইস করে হলেও আবাহনীতে খেলবো। কিন্তু আমি বলেছি না, তোদের এটা পেশা। ৫ লাখ টাকা স্যাক্রিফাইস করা যায়, তাদের এত বড় পেমেন্ট। কিন্তু ৫ লাখ টাকা স্যাক্রিফাইস করলেও যে টাকাটা আসে সেটা ক্লাব দিতে পারবে কিনা সেটা তো আমি বলতে পারব না। আমি তো নিজেও পেশাদার এখানে, আমিও বেতন পাই। আমার বেতন দিতে পারবে কিনা সেটাও আমি জানি না।’
ডিপিএলের পরবর্তী মৌসুম শুরু হতে এখনও ৭ মাস বাকি আছে। এর মাঝে অনেক কিছুই গুছিয়ে নেয়া সম্ভব বলে আশা করছেন অনেকে। সবশেষ কয়েক আসরের মতো তারকাঠাসা দল বানাতে না পারলেও আবাহনী মাঠে নামবে বলে জানিয়েছেন সুজন। ৫২ বছরের ঐতিহ্যবাহী দল অংশগ্রহণ না করলে নিজেদের সম্মানেও আঘাত হানবে বলে ধারণা ক্রিকেট বিশ্লেষকদের।
সুজন বলেন, ‘প্রিমিয়ার লিগ তো মার্চ মাসে হয়, এটা মাত্র আগষ্ট মাস চলছে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। এর মধ্যে দেশের অবস্থা কি হয় না হয় সেটা তো আমি বলতে পারব না, ভালো হতেও পারে। কিন্তু দল ওইরকম করতে পারুক, না পারুক হয়তবা পেশাদার কোন খেলোয়াড় নিতে পারুক , না পারুক আবাহনীকে মাঠে নামতে হবে। খেলতে তো হবেই প্রিমিয়ার লিগ। সেটা তো অবশ্যই খেলতে হবে নয়ত দল না করলে বিপদ হতে পারে। আবাহনীর মতো এত বড় একটা দল যারা স্পোর্টসে এত লিড করে তারা খেলবে না লিগে এটা তো হবে না।’