|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
অলিম্পিকে ক্রিকেট যোগ করার দাবি অনেক দিনের। এতদিন সেটা অন্তর্ভূক্ত না হলেও ২০২৮ অলিম্পিকে দেখা যাবে ছেলে ও মেয়েদের ক্রিকেট। অলিম্পিকে ক্রিকেটকে প্রতিনিধিত্ব দেয়ার বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা করেছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) ও ক্রিকেট স্কটল্যান্ড।
২০০৭ সালে অলিম্পিকের 'স্বীকৃতির মর্যাদা' পেলেও যুক্ত করা হয়নি ক্রিকেট। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) প্রতিনিয়ত চেষ্টা করলেও এখন পর্যন্ত অলিম্পিকে ক্রিকেট অন্তর্ভূক্ত করতে পারেনি। তবে গত দুই বছর আলোচনা ব্যাপকভাবে এগিয়ে নিয়েছে তারা।
অলিম্পিকে ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং উত্তর আয়ারল্যান্ড মিলে গঠিত 'গ্রেট ব্রিটেন' একসঙ্গে একটা দল হিসেবে অংশ নেয়। অন্যদিকে ক্রিকেটে অংশ নেয় আলাদা দল হিসাবে। তবে অলিম্পিকের ক্রিকেটের ক্ষেত্রে তারা একসঙ্গেই একটা দল হিসাবে অংশ নেবে।
স্বাভাবিকভাবেই গ্রেট ব্রিটেনের নেতৃত্ব থাকবে ইসিবি তথা ইংল্যান্ডের কাছে। এজন্য এখন থেকেই ক্রিকেট স্কটল্যান্ড তাদের খেলোয়াড়দের গ্রেট ব্রিটেন দলে সুযোগ পাওয়ার পরিকল্পনা করছে।
ইএসপিএনক্রিকইনফোকে ইসিবির এক কর্মকর্তা বলেন, 'লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকের এখনো চার বছর দূরে। দল গঠনটা একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। তবে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপগুলো নিয়ে ক্রিকেট স্কটল্যান্ডের সাথে কথা বলছি আবারো গ্রেট ব্রিটেনের অলিম্পিয়ানরা এ বছর প্যারিসে তাদের কীর্তিকলাপের মাধ্যমে জাতীয়তাবাদের মানসিকতাকে ধারণ করেছে। ২০২৮ সালে যখন ক্রিকেট অলিম্পিক মঞ্চে ফিরবে, তখন আমরা প্রতিযোগিতার জন্য একসাথে কাজ করার জন্য উন্মুখ।'
ব্রিটিশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী অ্যান্ডি অ্যানসন বলেন, 'কীভাবে চারটি দেশ একসাথে আসতে পারে সেই ব্যাপারে আমরা গলফ, রাগবি এবং নারীদের ফুটবল ইভেন্টে ভালো অভিজ্ঞতা পেয়েছি। একটি দেশকে প্রধান নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসাবে মনোনীত করা এবং অন্যান্য দেশের সাথে কাজ করার বিষয়টাতে আমি মনে করি ক্রিকেটের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।'
যদিও ক্রিকেটের কোন সংস্করণকে অলিম্পিকে সংযুক্ত করা হবে সেটা নিয়ে বিস্তারিত কিছুই জানা যায়নি। এর আগে টেলিগ্রাফ তাদের প্রতিবেদনে বলেছিল, র্যাঙ্কিংয়ের সেরা ছয়ে থাকা দলগুলো নিয়েই অলিম্পিকে আয়োজিত হবে ক্রিকেট।
ইংল্যান্ডের একটি সংবাদমাধ্যম কিছুদিন আগে তাদের প্রতিবেদনে লিখেছিল, ১৪ জন ক্রিকেটার নিয়ে স্কোয়াড সাজাতে পারবে দলগুলো। টুর্নামেন্টে অংশ নেয়া ৬ দলকে দুটি গ্রুপে ভাগ করা হবে। পয়েন্ট টেবিলে প্রতিটি গ্রুপের সেরা দুইয়ে থাকা দলগুলো সেমিফাইনাল খেলার সুযোগ পাবে। সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়া দল দুটি থেকে নির্ধারণ করা হবে ব্রোঞ্জ পদক জয়ী।