|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
২০১৯ সালে ১১ দফা সামনে এনে আন্দোলন করেছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। যেখানে বড় একটা অংশ জুড়ে ছিল ঘরোয়া ক্রিকেটে পারিশ্রমিক ও অনুশীলন সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো, অবকাঠামোর উন্নয়ন। জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা পেলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে সেটার বালাই নেই। সেই আন্দোলনের পর অবশ্য বাড়ানো হয়েছে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সবার পারিশ্রমিক এক হলেও ডিপিএলে সেটা একটু ভিন্ন। জাতীয় দলে খেলা কয়েকজন ক্রিকেটার যে পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন বাকিরা সেই তুলনায় অনেকটা কম পান। এদিকে প্রথম থেকে তৃতীয় বিভাগ পর্যন্ত আরও নাজুক অবস্থা। গুঞ্জন আছে সেখানে স্বজনপ্রীতির সঙ্গে আছে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতো নিষিদ্ধ ঘটনাও ঘটে।
গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে নুরুল হাসান সোহান জানতে চেয়েছেন প্রথম থেকে তৃতীয় বিভাগের আর্থিক অবস্থা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি অনেক দিন ধরে জাতীয় দলের আশপাশে আছি। আলহামদুলিল্লাহ, চুক্তিতে থাকায় ভালো একটা বেতন পাচ্ছি। প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ, তৃতীয় বিভাগ-এগুলোর অবস্থা কী?’
ঘরোয়া ক্রিকেটের দুর্নীতির কথাও সামনে এনেছেন সোহান। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খুলনা বিভাগের হয়ে চারদিনের ম্যাচ খেলেন উইকেটকিপার ব্যাটার। প্রতি মৌসুম শুরুর আগে জার্সি বানানোর জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে প্রতি বিভাগকে ৩ লাখ টাকা দেয়া হয়। অথচ মাত্র ৮০ হাজার টাকায় জার্সি বানানো হয় বলে অভিযোগ তুলেছেন সোহান।
বাকি ২ লাখ ২০ হাজার টাকা নিজের পকেটে রেখে দিয়েছেন সেক্রেটারি, এমনটাও জানিয়েছেন তিনি। সবশেষ ১৪-১৫ বছর ধরে এমন কাণ্ড করে আসছেন খুলনা বিভাগের সেক্রেটারি। মাত্র ৮০ হাজার টাকায় ৩০ জনের জন্য বানানো জার্সি গায়ে দেয়া যায় না বলেও অভিযোগ সোহানের। তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ যখন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছি, বিসিবি থেকে বিভাগীয় দলের জন্য জার্সি বাবদ দেওয়া হতো তিন লাখ টাকার মতো।’
‘এটা আমি নিজের চোখে দেখেছি, যেহেতু ক্যাপ্টেন ছিলাম। ৩০ জন খেলোয়াড়ের জন্য জার্সি বানানো হয়েছে ৮০ হাজার টাকা দিয়ে, যেটা পরার মতো নয়। এটার দায়িত্বে ছিলেন (বিভাগীয় দলের) সেক্রেটারি। ১৪-১৫ বছর ধরে সে-ই ছিল। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেই যদি এমন হয়...। পরে আমরা খেলোয়াড়েরা নিজেদের টাকা দিয়ে জার্সি বানিয়েছি। যে জার্সি বাইরে পরার মতো অবস্থা ছিল না।’