|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) শরিফুল ইসলামের ক্যান্ডি ফ্যালকনসকে দুই রান হারিয়েছে তাসকিন আহমেদের কলম্বো স্ট্রাইকার্স। ম্যাচে খরুচে বোলিং করেও দুই উইকেট নেন শরিফুল। ইকোনমিক্যাল বোলিং করে একটি উইকেট নেন তাসকিন।
ডাম্বুলায় টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৯৯ রান তোলে কলম্বো। দলটির হয়ে ৪৩ বলে সর্বোচ্চ ৭০ রানের ইনিংসটি খেলেন গ্লেন ফিলিপস। নয় নম্বরে নেমে তিন বলে একটি ছক্কায় সাত রান করেন তাসকিন আহমেদ।
বোলিংয়ে ক্যান্ডির হয়ে এদিন ছন্দহীন ছিলেন সব পেসাররাই। প্রত্যেকেই অন্তত দশের বেশি রান দিয়েছেন। ৪৩ রান খরচায় দুই উইকেট নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম। নিজের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলেই রহমানউল্লাহ গুরবাজকে ফেরান শরিফুল।
লেগ স্ট্যাম্পে করা শরিফুলের ফুল লেংথের বলটা দেখেই সজোরে ব্যাট চালান কলম্বো স্টাইকার্সের ওপেনার গুরবাজ। টাইমিং অবশ্য করতে পারেননি গুরবাজ, বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন কামিন্দু মেন্ডিসের হাতে।
নিজের করা প্রথম দুই ওভারে এই টাইগার পেসার ২৩ রান দেন। প্রথম ওভারে তিনি হজম করেছিলেন ১২ রান। ২য় ওভারে উইকেট পেলেও খরচ করতে হয়েছে ১১ রান। চতুর্থ ওভারের পর শরিফুলের হাতে আবার বল তুলে দেয়া হয় ১৬ তম ওভারে।
নিজের ৩য় ওভারে শরিফুল খরচ করেন মাত্র ৭ রান। ১৮ তম ওভারের নিজের শেষ ওভার করতে এসে চামিকা করুনারত্নেকে ফেরান শরিফুল। তবে সেই ওভারে তিনি দেন ১২ রান।
লক্ষ্য তাড়া করতে নামা ক্যান্ডি ফ্যালকনসে ব্রেক থ্রু এনে তাসকিন। নিজের প্রথম ওভারে ১২ রান দিলেও দ্বিতীয় ওভারে ৯ বলে ১২ রান করা দীনেশ চান্দিমালকে বোল্ড করে ফিরিয়েছেন এই পেসার। সেই ওভারে মাত্র এক রান দেন তাসকিন।
২৫ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর ৯৫ রানের জুটি গড়েন আন্দ্রে ফ্লেচার এবং মোহাম্মদ হারিস। ফ্লেচার ৩৬ বলে ৪৭ এবং হারিস করেন ৩২ বলে ৫৬ রান। তারপর কামিন্দু মেন্ডিস খেলেন ১৬ বলে ৩৬ রানের ইনিংস। দলটির রান তোলায় মূল বাধা হয়ে দাঁড়ান মাথিশা পাথিরানা।
২৬ রান খরচায় চার উইকেট নেন পাথিরানা। তার সঙ্গে শেষদিকে ইকোনমিক্যাল বোলিং করেন তাসকিনও। প্রথম দুই ওভারে ১৩ রান দেয়া এই পেসার পরের দুই ওভারে দেন ১৭ রান। মোট চার ওভারের স্পেলে ৩০ রান খরচায় এক উইকেট নেন তাসকিন।
জয়ের জন্য শেষ ওভারে ২০ রান দরকার ছিল ক্যান্ডির। সেই ওভারে ১৭ উইকেট নিয়ে ফেলে দলটি। যদিও শেষ বলে তিন রান নেয়ার সমীকরণ মেলাতে পারেননি অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। ১৪ বলে ৩৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। ক্যান্ডি থামে ১৯৭ রানে।