|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের বোকা বানালেও লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) শুরুটা ভালো হলো না মুস্তাফিজুর রহমানের। নিজের প্রথম ম্যাচে মোহাম্মদ হারিসের উইকেট নিলেও ৩ ওভারে দিয়েছেন ৪৪ রান। বাঁহাতি পেসারের খরুচে বোলিংয়ের দিনে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন তাওহীদ হৃদয়। বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটারের বিবর্ণ দিনে ক্যান্ডি ফ্যালকনসের কাছে ৬ উইকেটে হেরেছে ডাম্বুলা সিক্সার্স।
১৮০ রান তাড়ায় আন্দ্রে ফ্লেচারকে ফিরিয়ে ডাম্বুলাকে উইকেট এনে দেন নুয়ান থুসারা। চতুর্থ ওভারে বোলিংয়ে এসে নিজের প্রথম বলে উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজও। বাঁহাতি এই পেসারের বলে পুল করতে গিয়ে মুস্তাফিজের হাতেই ক্যাচ দিয়েছেন পাকিস্তানের হারিস। প্রথম ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নিলেও পরের দুই ওভারে রান বিলিয়েছেন তিনি। পাওয়ার শেষ ওভারে বোলিংয়ে আসা মুস্তাফিজের ওপর চড়াও হন দীনেশ চান্দিমাল।
এক ছক্কা ও দুই চারে সেই ওভার থেকে এসেছে ১৬ রান। প্রথম দুই ওভারে ২১ রান দেয়া তারকা এই পেসার তৃতীয় ওভারে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও দাসুন শানাকার তোপের মুখে পড়েন। তিন ছক্কা ও এক চারে দিয়েছেন ২৩ রান। সব মিলিয়ে ৪ ওভারে মুস্তাফিজ খরচা করেছেন ৪৪ রান। এদিকে ক্যান্ডির জয়ের ভিতটা গড়ে দিয়েছেন ৬৫ রান করা চান্দিমাল। এরপর ম্যাথিউস ৩৭ এবং শানাকা ৪৬ রানের ইনিংস খেলে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের জয় নিশ্চিত করেন।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ডাম্বুলা। কুশল পেরেরার পর দ্রুতই ফিরে গেছেন আরেক ওপেনার দানুশকা গুনাথিলাকাও। তিনে নেমে টিকতে পারেননি নুয়ান্দো ফার্নান্দোও। শানাকার শর্ট ডেলিভিারিতে এজ হয়ে ম্যাথিউসের হাতে ক্যাচ দিয়ে গেছেন ৪ রান করা এই ব্যাটার। ডাম্বুলার একাদশে সুযোগ পেলেও সেটা কাজে লাগাতে পারেননি হৃদয়।
নিজের দ্বিতীয় বলেই সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। শানাকার বলে ফ্লিক করতে চেয়ে বলের লাইন মিস করেছিলেন বাংলাদেশের এই ব্যাটার। আম্পায়ার শুরুতে আউট না দিলেও রিভিউ নিয়ে তাকে ফেরায় ক্যান্ডি। হৃদয়ের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১ রান। ২৫ রানে ৪ উইকেট হারানোর পরও জুটি গড়ে তোলেন চ্যাপম্যান ও চামিন্দু বিক্রমাসিংহে। শুরুতে দেখেশুনে ব্যাটিং করলেও পরের দিকে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন তারা দুজন।
সেটার আগে সাবধানী ব্যাটিংয়ে ৪৩ বলে অবশ্য হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন চ্যাপম্যান। পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর থেকেই ঝড় ওঠে কিউই ব্যাটারের ব্যাটে। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৬১ বলে ৯১ রানের ইনিংস খেলে। তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দেয়া চামিন্দু খেলেছেন ৪২ বলে অপরাজিত ৬২ রানের ইনিংস। তাদের দুজনের অবিচ্ছিন্ন ১৫৪ রানের জুটিতে শেষ অবদি ১৭৯ রানের পুঁজি পায় ডাম্বুলা। ক্যান্ডির হয়ে একাই ৩ উইকেট নিয়েছেন শানাকা।