টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

অবশেষে অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারলাম: নাইব

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 14:16 রবিবার, 23 জুন, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

সীমিত ওভারের ক্রিকেটের সর্বশেষ দুই বিশ্বকাপেই অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর জোর সম্ভাবনা তৈরি করেছিল আফগানিস্তান। তবে কেন জানি জয় ধরা দিচ্ছিল না তাদের হাতে। ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অ্যাডিলেডে রশিদ খানের বিধ্বংসী ইনিংসের পরও শেষ পর্যন্ত ৪ রানে হেরে গিয়েছিল আফগানিস্তান।

এরপর ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ২৯১ রানের পুঁজি নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল দলটির। ৯১ রানে অজিদের ৭ উইকেট তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বুকে কাঁপন ধরিয়েছিল রশিদ খানের দল। তবে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের এক অতিমানবীয় ডাবল সেঞ্চুরিতে আর কোনো উইকেট না হারিয়েই জয় পায় অস্ট্রেলিয়া।

এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অজিদের ২৫ রানে হারিয়ে আগের দুই হারের বদলা নিয়েছে আফগানিস্তান। আগের দুই হারের হতাশা ভুলে শেষ পর্যন্ত জয়ের স্বপ্নের ঠিকানা খুঁজে পেয়েছে আফগানরা। এই ম্যাচে আফগানদের নায়ক ছিলেন গুলবাদিন নাইব। ২০ রানে এদিন ৪ উইকেট নিয়ে আফগানিস্তানের ইনিংস গুঁড়িয়ে দিয়েছেন তিনিই।

বিশ্বকাপে সর্বশেষ তিন দেখায় অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পেরে প্রশান্তি বইছে নাইবের মনে। স্বস্তি নিয়ে এই আফগান পেসার বলেছেন, 'থ্যাংক গড, অবশেষে আমরা অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারলাম। আফগানিস্তানের জন্য এটা বিশাল অর্জন। আমাদের ক্রিকেট ইতিহাস দীর্ঘদিনের নয়। গত ১০ বছরেই যা কিছু অর্জন করেছি। এটা অনেক বড় এক অর্জন।'

গত বিশ্বকাপের স্মৃতির কথাও স্মরণ করেছেন নাইব। এবার বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডকে হারানো বড় অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে আফগানদের। দল একটি দল পেয়ে গর্বিত নাইব। অজিদের বিপক্ষে জয়ের পর ম্যানেজমেন্টকেও প্রশংসায় ভাসিয়েছেন নাইব।

তিনি বলেছেন, 'গত বিশ্বকাপেও আমরা ভালো খেলেছি। এবারের বিশ্বকাপ নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়েছি। অস্ট্রেলিয়ার মতো চ্যাম্পিয়ন দলকে এত বড় টুর্নামেন্টে হারালাম। এরকম দল ও এমন ম্যানেজমেন্ট পাওয়া আমাদের জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার।'

নাইব অবশ্য ব্যাটিংয়ের সময়ই বোলিংয়ের পরিকল্পনা সাজিয়ে রেখেছিলেন। এই ম্যাচের জয়ের কৃতিত্ব একা নিতে নারাজ এই আফগান পেসার। তিনি রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহীম জাদরান ও নাভিন উল হকেরও অবদান স্বীকার করেছেন তিনি।

ম্যাচ শেষে নাইব বলেছেন, 'ব্যাটিং ইনিংসের সময় উইকেট বুঝতে পেরেছিলাম। তখনই ঠিক করেছিলাম কীভাবে বল করতে হবে এখানে। রাশিদকে ধন্যবাদ যে আমার ওপর আস্থা রেখেছে। এটা পুরোপুরি দলীয় প্রচেষ্টার ফসল। রাহমানউল্লাহ, জাদরান দারুণ ব্যাট করেছে, নাভিন চমৎকার বোলিং করেছে। গত দুই মাস আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি, ফলাফল আপনাদের সামনে।'