|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ম্যাচ জিততে শেষ ওভারে আয়ারল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে প্রথম বল ডট দেন মার্ক অ্যাডায়ার। দ্বিতীয় বলে অবশ্য টপ এজ হয়ে ফিরেছেন ২৪ বলে ৩৪ রান করা এই ব্যাটার। পরের দুই বলে মাত্র ২ রান দিয়েছেন জেরেমি গর্ডন। যার ফলে শেষ দুই বলে আইরিশদের প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। তবে দুই বলে দুই রানের বেশি নিতে দেননি গর্ডন। তাতে অ্যাডায়ার ও জর্জ ডকরেলের ৬২ রানের জুটি কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। আয়ারল্যান্ডকে ১২ রানে হারিয়ে এবারের বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিল কানাডা।
নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ১৩৮ রান তাড়ায় শুরুটা ভালো করতে পারেনি আয়ারল্যান্ড। দুই ওপেনার পল স্টার্লিং ও অ্যান্ড্রু বালবির্নিকে শুরু থেকেই চেপে ধরেন কানাডার বোলার। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে গিয়ে উইকেটও তুলে নেয় তারা। জেরেমি গর্ডনের ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারিতে পুল করতে চেয়েছিলেন স্টার্লিং। তবে টপ এজ হওয়ায় উইকেটকিপারের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় তাকে।
ভারতের বিপক্ষে সুবিধা করতে না পারা আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক সাজঘরে ফিরেছেন মাত্র ৯ রানে। কানাডার বোলারদের চাপে পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩১ রান তোলে তারা। এদিকে আরেক ওপেনার বালবির্নি বিদায় নিয়েছেন পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পরের ওভারে। জুনায়েদ সিদ্দিকীর বলে তারই হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ১৯ বলে ১৭ রান করা এই ব্যাটার। চারে নামা হ্যারি টেক্টরও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ।
সাদ বিন জাফরের দারুণ এক ডেলিভারিতে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন চারে নামা এই ব্যাটার। টেক্টরের ব্যাট থেকে এসেছে ৭ রান। ব্যাট হাতে ব্যর্থতার পাল্লা ভারী করেছেন লরকান টাকার, কার্টিস ক্যাম্ফার এবং গ্যারেথ ডেলানি। শেষ দিকে আয়ারল্যান্ডকে স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেন জর্জ ডকরেল ও অ্যাডায়ার। তবে তাদের দুজনের ৬২ রানের জুটির পরও ১২৫ রানে থামতে হয় তাদের।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি কানাডা। শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে মার্ক অ্যাডায়ারের অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট অব লেংথ ডেলিভারিতে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে থাকা জর্জ ডকরেলের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। আরেক ওপেনার অ্যারন জনসনও ফিরেছেন পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৪ রান।
তিনে নামা পারগাত সিং ১৮ রানে ফিরেছেন ক্রেইগ ইয়াংয়ের বলে জশুয়া লিটলের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ৫৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে খানিকটা বিপদে পড়ে কানাডা। সেখান থেকে তাদের টেনে তোলার চেষ্টা করেন নিকোলাস কির্টন ও শ্রেয়াস মোভা। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৭৫ রান। হাফ সেঞ্চুরির খুব কাছে থাকলেও ৪৯ রানে ফিরেছেন নিকোলাস। আরেক ব্যাটার শ্রেয়াস করেছেন ৩৭ রান। তাদের দুজনের ব্যাটেই শেষ পর্যন্ত ১৩৭ রানের পুঁজি পায়। আয়ারল্যান্ডের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন ইয়াং এবং ব্যারি ম্যাকার্থী।