পাকিস্তান ক্রিকেট

মানসিকতা পাল্টে গেছে পাকিস্তানের, প্রতি ম্যাচে লক্ষ্য দুই শতাধিক রান

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 10:44 শনিবার, 25 মে, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

সাম্প্রতিক সময়ে আগে ব্যাটিং করে পাঁচটির মধ্যে তিনটি ম্যাচেই হেরেছে পাকিস্তান। আর তাই প্রথম ইনিংসে দলটির ব্যাটিং নিয়ে চলছে সমালোচনা। যদিও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচ হারের পর টিম মিটিংয়ে বসেছিলেন বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ান। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় আগে ব্যাটিং করলে অন্তত দুইশ করার লক্ষ্যে খেলবে দলটি। এমনটা জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র ক্রিকেটার ফখর জামান।

চলতি বছর ১৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মধ্যে পাঁচ ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে পাকিস্তান তোলে ১৫৮, ১৩৪, ১৭৮, ১৭৮ ও ১৮২। এর মধ্যে তিনটি ম্যাচ হারে দলটি, যার সর্বশেষটি ছিল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি।

সেই ম্যাচে পাঁচ উইকেটে হারের পরই এ নিয়ে সভায় বসে পুরো পাকিস্তান দল। প্রথম ইনিংসে যদি সুযোগ হয় তাহলে দুই শতাধিক রান করার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। অবশ্য আইরিশদের বিপক্ষে পরের দুটি ম্যাচে পাকিস্তান পরে ব্যাটিং করেছে জিতেছে।

ফখর জামান বলেন, ‘আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ হেরে যাওয়ার পর মানসিকতা পাল্টেছে, শরীরী ভাষাও পাল্টেছে। কেউ হারতে পছন্দ করে না। কিন্তু প্রথম ম্যাচের পর আমরা যে মানসিকতা ধারণ করেছি, সেটি ধরে রাখতে পারলে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি দলকে দেখবেন।’

‘প্রতিটি ম্যাচের পরই আমরা বৈঠক করি। আর এখন আমাদের যে মানসিকতা, সেটি হলো, আগে ব্যাটিংয়ে নামলে দুই শ থেকে দুই শর বেশি রান করা। আমি এই মানসিকতার কথাই বলছি, যেটা নিয়ে বিশ্বকাপে যেতে পারি...আমাদের ব্যাটিং নিয়ে তো অনেক কথাই হয়; যদিও বোলিং বিশ্বমানের। আমি যেটা বলতে চাচ্ছি, সেটা হলো ব্যাটিং নিয়ে এখন যে মানসিকতা (দলের), আমাদের দুই শর বেশি রানের লক্ষ্যে খেলতে দেখবেন। সেই চেষ্টাটা দেখবেন।’

একই সঙ্গে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজের পরিকল্পনা সম্পর্কেও জানিয়েছেন পাকিস্তানের টপ অর্ডার এই ব্যাটার। আপাতত ব্যাটিং নিয়ে পাকিস্তানের হেড কোচসহ কারো কোনো কথাই শুনতে চান না তিনি। ব্যাট চালিয়ে যেতে চান নিজের মতো করে।

ফখর আরও বলেন, ‘বিশ্বকাপ ঘনিয়ে এসেছে। এই মুহূর্তে তাই আমি (ব্যাটিং নিয়ে) কারও কথাই শুনব না। টুর্নামেন্ট খুব কাছাকাছি থাকতে কোনো কিছু পাল্টানো সহজ নয়। তাই আমি যেভাবে খেলি, সেভাবেই খেলে যাব এবং পরে (বিশ্বকাপের পর) তার (হেড কোচ) সঙ্গে কাজ করব।’