|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ৫৩ রানে হারিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের এবারের আসর শেষ করল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। পয়েন্ট টেবিলে দুই নম্বরে থেকেই এবারের আসর শেষ করেছে ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বাধীন দলটি। এর আগে ২০০৮-০৯ মৌসুমে রানার্সআপ হয়েছিল দলটি। অর্থাৎ, ১৫ বছর পর রানার্সআপ হলো তারা। ব্যাটাররা সেভাবে জ্বলে উঠতে না পারলেও বোলারদের পারফরম্যান্সে ম্যাচটি সহজেই জিতেছে দলটি।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ইনিংসে দ্বিতীয় বলেই হাবিবুর রহমানের উইকেট হারায় মোহামেডান। রুয়েল মিয়ার দারুণ একটি ডেলিভারিতে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হন তিনি। ১১ বলে ৯ রান করে শেখ পারভেজ জীবনের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ইমরুল।
মৌসুমে সবচেয়ে বেশি রান করা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ফিরে যান দলীয় ৫০ রানের মধ্যেই। হুসনা হাবিব মেহেদীর বলে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনি। ১৬ ওভারের মধ্যে রনি তালুকদারের উইকেটও হারায় মোহামেডান।
হুসনা হাবিব মেহেদীর বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ার আগে ৫১ বলে ৩৯ রান করেন তিনি। এরপর ওয়াসি সিদ্দিকির লেগ স্পিনের সামনে একেবারেই সুবিধা করতে পারেনি দলটি। ১০২ থেকে ১৩৮ রানের মধ্যে মোহামেডানের চারটি উইকেট তুলে নেন ওয়াসি।
তাকে উর্যে মারতে গিয়ে লং অফে ক্যাচ দেন ৫১ বলে ১৮ রান করা রুবেল মিয়া। মোহামেডানের ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৪ রান করে লং অফে ক্যাচ দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সেই ওভারে আবু হায়দার রনিকে বোল্ড করেন এই লেগি।
১৬ রান করা আরিফুল হককে বিদায় করেন পরের ওভারেই। শেষ পর্যন্ত ৪৭.৩ ওভারে ১৭৬ রানে অলআউট হয়। গাজী গ্রুপের হয়ে ৪২ রান খরচায় চার উইকেট নেন ওয়াসি। ২৪ রান খরচায় তিন উইকেট নেন হুসনা হাবিব মেহেদী।
লক্ষ্য তাড়া করে নেমে নাসুম আহমেদ, মিরাজ, মুশফিক হাসান এবং নাঈম হাসানদের তোপে মাত্র ৩২.১ ওভারেই অলআউট হয় গাজী গ্রুপ। নাঈম নেন ২৭ রান খরচায় তিনটি উইকেট। দুটি করে উইকেট নেন নাসুম, মিরাজ এবং মুশফিক।
গাজীর হয়ে ইনিংস সর্বোচ্চ ২৯ রান আসে মাসুম খান টুটুলের ব্যাটে। এ ছাড়া ২৩ রান করে করেন মেহেদী মারুফ এবং প্রীতম কুমার। বল হাতে চার উইকেট নেয়া ওয়াসি ১৩ ও হাবিবুর রহমান ১২ উইকেট নেন।