ডিপিএল

বিজয়ের সেঞ্চুরিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন আবাহনী

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 16:38 সোমবার, 06 মে, 2024

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||

শিরোপা আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। বাকি ছিল শুধু আনুষ্ঠানিককতার। সোমবার মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে ৪ উইকেটে হারিয়ে সেটাও পূরণ করল আবাহনী লিমিটেড। এনামুল হক বিজয়ের সেঞ্চুরিতে শাইনপুকুরকে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের ২৩তম শিরোপা নিশ্চিত করল দলটি। সেই সঙ্গে লিস্ট এ ক্রিকেটের মর্যাদা পাওয়ার পর এই প্রথম অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হল কোন দল। পাশাপাশি টানা দ্বিতীয় শিরোপা জিতল মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের দল।

এ দিন জয়ের জন্য আবাহনীকে ২৩৫ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় শাইনপুকুর। সেই লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লে'তেই দুই উইকেট হারিয়ে বসে আবাহনী। নাঈম শেখ ও সাব্বির হোসেন ফেরেন দলীয় ৩০ রানে, এরপর মাজহারুল ইসলাম সাগরকে নিয়ে জুটি গড়েন এনামুল হক বিজয়।

এই জুটিতে ধাক্কা সামাল দিয়ে ৬৫ রানে জুটি গড়েন দুজন। তবে দলীয় ১০০'র আগে সাগর বিদায় নেন ২৩ রানে নাইম আহমেদকে উইকেট দিয়ে। সঙ্গী হারালেও অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে দলকে ১৫০'র ঘরে নিয়ে যান বিজয়।

নিজেও তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। তবে দলীয় ১৫৮ রানে ২৯ রান করা মোসাদ্দেক আউট হন ২৯ রানে। এরপর নাহিদুলকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেয়ার সাথে সেঞ্চুরির পথে হাঁটতে থাকেন বিজয়। তবে দলের রান ২০০'র আগে নাহিদুল ও রাকিবুল হাসান ফিরে গেলেও সেঞ্চুরি তুলে নেন বিজয়।

বিজয় সেঞ্চুরি পাওয়ার পর আর পেছনে ফিরে তাকায়নি আবাহনী। ৪৭তম ওভারের প্রথম বলে ৬ হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন বিজয়। ১২০ বলে ১১০ রানে অপরাজিত থাকেন এই ব্যাটার। ৪ উইকেটের জয় নিয়ে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা নিশ্চিত করে দলটি।

এর আগে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই জিসান আলমকে হারিয়ে বসে শাইনপুকুর। দলীয় ১৮ রানে প্রথম উইকেট হারালেও অমিত হাসান সঙ্গে জুটি গড়েন খালিদ হাসান। দুজনের জুটিতে দলের রান পার হয় ১০০। কিন্তু হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ইনিংস বড় করতে পারেননি খালিদ।

৫৮ রান করে তিনি বিদায় নেন রাকিবুলের ওভারে। এরপর চারে নামা শাহরিয়ার সাকিবও ফেরেন দ্রুত। তবে ইরফান শুক্কুরকে নিয়ে দলকে ১৫০ পার করিয়ে সেঞ্চুরির পথে হাঁটতে থাকেন অমিত হাসান। তবে দলীয় ১৮৩ রানে পর পর দুই উইকেট হারিয়ে বসে শাইনপুকুর।

১১৬ বলে ৭৭ রান করে আউট হন অমিত। উইকেট নেন রাকিবুল। ১৮৩ রানে জোড়া ধাক্কা খেয়ে খেই হারিয়ে ফেলে আবাহনী। ২০০'র আগে বিদায় নেন আরও ৩ ব্যাটার। এই ধাক্কা কোন মতে সামাল দিলেও নীচের ব্যাটাররা চেষ্টা করেও ২৫০ ছুঁতে পারেনি শাইনপুকুর। ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৩৪ রান স্কোরবোর্ডে তোলে দলটি।