|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
৪ বছর ১০ মাস ১৬ দিন পর সেঞ্চুরি করে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। যদিও তার সেঞ্চুরিতে জিততে পারল না শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। মাহফুজুর রহমান রাব্বির পাল্টা সেঞ্চুরিতে দুই উইকেটে জিতে গেছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।
প্রিমিয়ার লিগে এরই মধ্যে শিরোপা জিতে গেছে আবাহনী লিমিটেড। সুপার লিগের অবশিষ্ট দুই রাউন্ডের ম্যাচগুলো তাই রঙ হারিয়েছে অনেকটাই। যদিও এমন দিনে প্রিমিয়ার লিগকে আলোচনায় আনেন সাকিব।
দিন হিসেবে ১৭৮২, অর্থাৎ ৫৮ মাস পর সাকিবের ব্যাটে আসে সেঞ্চুরি। শেষবার ২০১৯ সালের জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১২৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। সবমিলিয়ে লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে ৭৩ বলে পাওয়া সেঞ্চুরিটি তার দশম সেঞ্চুরি।
মাঝে কেটেছে ৫৭ লিস্ট 'এ' ক্রিকেটের ইনিংস। সেঞ্চুরি না পাওয়ার ৫৭ ইনিংসে ১৪টি হাফ সেঞ্চুরি, ২টি ৯০ পেরোনো, একটি ৯৬ অপরাজিত রানের ইনিংস খেলেন তিনি। দুইবার করে হাফ সেঞ্চুরির 'হ্যাটট্রিক'ও করেন তিনি।
সেঞ্চুরির পর ইনিংসটি অবশ্য বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেননি সাকিব। ৯টি চার ও সাতটি ছক্কায় সাজানো তার ১০৭ রানের ইনিংসটি থামে আবদুল গাফফারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ এক্সট্রা কাভারে শেখ জীবনের ক্যাচ হয়ে।
সাকিবের সেঞ্চুরির ম্যাচে ৫১ বলে ৭১ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলেন ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি। এই দুজনের দারুণ দুটি ইনিংসে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৮০ রান তোলে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৫৪ রান তুলতে চার উইকেট হারায় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। তারপর সাব্বির হোসেন শিকদারের ৯১ বলে ৬৪ রানের ইনিংসে সাময়িক বিপর্যয় পার করে দলটি। ১৬৬ রানে পাঁচ উইকেট হারানো দলটি প্রাণ ফিরে পায় মাহফুজুরের ব্যাটে।
বল হাতে ২৯ রান খরচায় তিন উইকেট নেয়ার পর ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। তিনটি চার ও ১২টি ছক্কায় ১১৮ বলে ১২৫ রান করে দলকে জয় থেকে এক রান দূরে রেখে ফিরে আসেন তিনি।
৩০ বলে ৩৪ রানের অপরাজিত এক ইনিংস খেলে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন শেখ পারভেজ জীবন। শেখ জামালের হয়ে ৪৪ রান খরচায় চার উইকেট নেন আরিফ আহমেদ। সাকিব ১০ ওভারে ৪৭ রান খরচ করলেও উইকেটের দেখা পাননি।